রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে গেলেও কমেছে রেমিট্যান্স

বিমানবন্দরে অভিবাসী শ্রমিকদের ফাইল ছবি | স্টার

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শ্রমচাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে বাংলাদেশে থেকে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশে গেছেন। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সেই অনুপাতে বাড়েনি রেমিট্যান্স।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে যেখানে বিদেশে যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ১৭ হাজার, সেখানে ২০২২ সালে তা বেড়ে ১১ লাখ ৩৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

বিদেশ যাওয়া শ্রমিকের সংখ্যা এত বাড়লেও সেই অনুপাতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়েনি।

উল্টো আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর হার কমে গেছে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ ২২ বিলিয়ন ডলার থাকলেও ২০২২ সালে এসে তা ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ২১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

এমন একটি সময়ে এসে এই পরিস্থিতি তৈরি হলো, যখন বাংলাদেশে ডলার সংকট চলছে।

রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক বিদেশ যাওয়া সত্ত্বেও রেমিট্যান্স বৃদ্ধি না হওয়ার পেছনে হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন দায়ী বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রিক্রুটিং এজেন্সি।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন অভিবাসী শ্রমিকরা বিদেশে চাকরি শুরুর পর ৩ মাস প্রবেশন পিরিয়ড থাকে। ফলে দেশে টাকা পাঠানো শুরু করতে তাদের ৩ থেকে ৬ মাসের মতো সময় লাগে।'

রেমিট্যান্স প্রবাহ কমার পেছনে দ্বিমুখী ডলার নীতি দায়ী বলে মনে করেন শামীম আহমেদ। দ্বিমুখী নীতি হলো ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হারের পার্থক্য।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকরা মূলত মাসে ২০০ থেকে ৪০০ ডলার আয় করেন। সুতরাং, যদি তারা দেখতে পান যে অনানুষ্ঠানিক বাজারটি অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্মের তুলনায় প্রতি মার্কিন ডলারে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি অফার করে, তবে তারা অনানুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেই টাকা পাঠাবে।'

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Worker outflow hits record high but remittance falls

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh at a historic crossroads: Dr Kamal Hossain

Eminent jurist Dr Kamal Hossain today said Bangladesh stands at a turning point of history following recent mass uprisings

1h ago