নিষেধের পরোয়া নেই পদ্মা সেতুতে
কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসারে—পদ্মা সেতুতে হাঁটাহাঁটি করা যাবে না, থামানো যাবে না গাড়ি, সেতুতে নেমে ছবি তোলাও বারণ।
তবে এই নির্দেশনা মানছেন না অনেকেই। সেতু পার হওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে সেলফিবাজি, ছবি তোলা চলছেই। ছবির এই বাসটি সেতুর উপর দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় আরও কয়েকটি বাস।
গতকাল শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেতু পার হওয়ার সময় দেখা যায়, বাস বাদেও ৪০-৫০টি ব্যক্তিগত গাড়ি সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বাস ও গাড়ি থেকে নেমে ছবি, সেলফি তুলছেন কিংবা হাঁটাহাঁটি করছেন অন্তত ১০০-১৫০ মানুষ। অনেকে দলবেঁধে ছবি তোলার সময় সেতুর মাঝ বরাবর চলে আসছেন। ব্যস্ত এই সেতুতে যা হতে পারে দুর্ঘটনার কারণ।
চোখে পড়ে, এর বিপরীত পাশে দাঁড়িয়ে আছে একটি পুলিশের গাড়ি। পুলিশের ৪-৫ জন সদস্য হাঁটাহাঁটি করছেন।
দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনকারী দেশের দীর্ঘতম পদ্মা সেতু গত ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরদিনই তা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
উদ্বোধনের আগ থেকেই পদ্মা সেতুতে হেঁটে ওঠা কিংবা গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলা বারণ থাকলেও প্রথম দিনে মানুষের উচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়েছিল এসব বিধি-নিষেধ।
খোলার পরপরই মানুষ হামলে পড়ে সেতুর উপর দিয়ে যেতে। হেঁটে কাউকে উঠতে না দিলেও মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি নিয়ে উঠে অনেকেই সেতুর উপর গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলায় মেতে ওঠেন। অনেকে লাইভও করছিলেন। আবার বাস থামিয়েও নেমে পড়েন যাত্রীরা।
এরপর বিকেলে সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে বিধি-নিষেধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আবার গণবিজ্ঞপ্তি দেয় সেতু মন্ত্রণালয়।
উপরের ছবিগুলো চলন্ত অবস্থায় তোলা।
Comments