যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান কমাল ফিচ, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া হোয়াইট হাউসের

যুক্তরাষ্ট্র, ঋণমান, ফিচ, হোয়াইট হাউস,
মার্কিন ক্যাপিটল ভবন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমান শীর্ষ অবস্থান এএএ থেকে এএ+ এ নামিয়ে এনেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ফিচ।

আজ বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তবে, দুই মাস আগে দেশটির ঋণসীমা সংকটের সমাধান হওয়া সত্ত্বেও রেটিং কমানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে, চলতি বছরের মে মাসে প্রথম ঋণমান কমানোর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল ফিচ। তারপর ঋণসীমা সংকট সমাধানের পর জুনে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণমানের শীর্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল ফিচ এবং বলেছিল, তারা এই বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে পর্যালোচনা চূড়ান্ত করতে চায়।

এই অবনমনের কারণে ফিচের রেটিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ মান এএএ থেকে এক ধাপ নিচে নেমে গেছে এবং দেশটির বর্তমান ঋণমান এএ+।

দেশটির ঋণমান কমানোর পর বিভিন্ন মুদ্রার বিপরীতের ডলারের পতন হয়েছে। স্টক ফিউচার কমেছে এবং ট্রেজারি ফিউচার বেড়েছে। তবে বেশ কয়েকজন বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষক বলেছেন, তারা আশা করছেন এই অবনমনের প্রভাব সীমিত হবে।

কয়েক মাস ধরে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস একটি ঋণ চুক্তিতে পৌঁছায়। ওই চুক্তিতে সরকার ৩১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণসীমা তুলে নেওয়ার দুই মাস পর ফিচ এই উদ্যোগ নিয়েছে।

এক বিবৃতিতে ফিচ বলেছে, 'ফিচের দৃষ্টিতে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ঋণের সীমা স্থগিত করতে জুনে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হলেও, গত ২০ বছরে সরকারের আর্থিক ও ঋণ সংক্রান্ত মানের ক্রমাগত অবনতি হয়েছে।'

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন এক বিবৃতিতে ফিচের অবনমনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। তিনি এটিকে 'স্বেচ্ছাচারী ও পুরানো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে' করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

হোয়াইট হাউসও একই ধরনের মন্তব্য করে জানিয়েছে, তারা 'এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দ্বিমত পোষণ করে'।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে অবমূল্যায়ন করা মানে বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করা।

Comments

The Daily Star  | English

The ceasefire that couldn't heal: Reflections from a survivor

I can’t forget the days in Gaza’s hospitals—the sight of dismembered children and the cries from phosphorus burns.

5h ago