জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে ঝুঁকছে জাপানের ব্যাংকগুলো
জাপানের ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসায়ে জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। বিশেষ করে কল সেন্টার পরিচালনা ও এটিএম পরিষেবা থেকে শুরু করে অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং ও ইক্যুইটি বিশ্লেষণে তারা জেনারেটিভ এআই ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে। কারণ দেশটির ব্যাংকগুলো মুনাফা বৃদ্ধি ও শেয়ারের দাম বাড়ানোর লক্ষে কাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার টোকিওতে চার দিনের ফিন-সাম ইভেন্টের প্রথম দিনে জাপানিজ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মাসাহিকো কাতো বলেন, '২০২৩ অর্থবছরে জাপানের ব্যাংকগুলোর মধ্যে জেনারেটিভ এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।'
নিক্কেই ও জাপানের আর্থিক পরিষেবা সংস্থা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মিজুহো ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট মাসাহিকো কাতো বলেন, জাপানিজ ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ১১১ সদস্য ব্যাংকের মধ্যে ৪০ শতাংশ জেনারেটিভ এআই ব্যবহার করছে বা ব্যবহার শুরু করেছে। জেনারেটিভ এআই বিনামূল্যে ব্যবহারযোগ্য চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির একটি প্রযুক্তি।
তিনি জানান, ব্যাংকগুলো জেনারেটিভ এআইয়ের দক্ষতার সুবিধা নিয়েছে এবং রুটিন কাজগুলো করতে এটি ব্যবহার করছে।
প্রাথমিকভাবে জাপানি ব্যাংকগুলোর এআই প্রযুক্তির ব্যবহার অভ্যন্তরীণ কাজগুলোতে সীমাবদ্ধ ছিল, যেমন অভ্যন্তরীণ নথিগুলোর সারাংশ তৈরি করা, অনুবাদ করা এবং কোড লেখা। তবে, এখন তারা গ্রাহকদের জন্য প্রযুক্তিটি ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যে আছে কিছু প্রস্তাবনা তৈরি করা এবং কিছু পরিষেবার জন্য মানুষের প্রতিস্থাপন করা।
কাতো বলেন, যেমন গ্রাহকদের পাঠানো ইমেইলগুলো জেনারেটিভ এআই দিয়ে খসড়া করা হবে। এপ্রিল থেকে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ব্যাংকগুলো মানি লন্ডারিং কার্যকলাপ সনাক্ত করতে ও বিপুল পরিমাণে লেনদেনের ডেটা পর্যবেক্ষণে এআই ব্যবহার করবে।
Comments