কম শুল্কে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু, বাজারে কমছে দাম

প্রতীকী ছবি। স্টার ফাইল ফটো

পেঁয়াজের রপ্তানি শুল্ক ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে অর্ধেক করেছে ভারত। গতকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন শুল্ক হারে হিল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। এতে কমতে শুরু করেছে বাজারে পেঁয়াজের দাম।

শুল্ক হার কমানোর আগে চার দিন ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আসেনি। অবশেষে গতকাল বিকেল ৫টার দিকে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজের শুল্কহার ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করে। এর পরই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের ট্রাক ঢুকতে শুরু করে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মামুনুর রশিদ জানান, গত শুক্রবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির শুল্ক অর্ধেক করে এবং রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে। তবে ভারতের কাস্টমসের সার্ভারে নতুন শুল্কহার আপডেট না হওয়ায় চার দিন পেঁয়াজ আমদানি করা সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সার্ভার আপডেট হওয়ার পর কম শুল্কের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। আমদানি বাড়লে কয়েক দিনের মধ্যে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৮০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যদিও আজ বুধবার দিনাজপুরের বাহাদুরবাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। গতকালও এই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১১০ টাকা দরে।

বাজারের একজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী বলেন, আগামী কয়েক দিনে দাম আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর পেঁয়াজের ন্যূনতম দর ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়। পরে বন্যার কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার কারণ দেখিয়ে ভারত সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করেন।

এরপর ২৩ মার্চ সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ানো হয়। তবে ৪ মে ভারত সরকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেও রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে দাম বেড়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh sees window of opportunity in Trump’s trade war

US President-elect Donald Trump’s trade policies towards China and Mexico could ultimately benefit Bangladesh, according to local apparel exporters.

9h ago