যেসব কাজে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার হয়

 ইন্টারনেট, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, বিটিআরসি

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কথা বলতে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে ও সংবাদ পড়তে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোরর জরিপে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে প্রায় ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ কথা বলার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন, যা গত বছরের চেয়ে কম। গত বছর এই হার ছিল ৮৫ শতাংশ।

প্রায় ৬০ শতাংশ ব্যবহারকারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন, যা গত বছরের ৮৩ দশমিক ৩ শতাংশের চেয়ে কম।

২০২৩ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৫১ শতাংশেরও বেশি অনলাইনে সংবাদ পড়েছেন বা ডাউনলোড করেছেন। এর আগের বছর ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ মানুষ সংবাদ পড়তে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছিলেন।

গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ওয়েবসাইটে 'সার্ভে অন অ্যাক্সেস অ্যান্ড ইউজ অব আইসিটি অ্যাপ দ্য হাইসহোল্ড অ্যান্ড ইনডিভিজুয়াল লেভেল' শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

এই জরিপে তারযুক্ত ব্রডব্যান্ড সংযোগ ও ওয়্যারলেস মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগকে বিবেচনায় নেওয়া হয়।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় ও বাংলা কনটেন্টের অভাবে মানুষ এখনো প্রাথমিক কাজের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। দাপ্তরিক কাজ, ক্রয় ও ই-গভর্নেন্স সেবার জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহারের হার এখনো অনেক কম।'

জরিপ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মাত্র ৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ অনলাইন কোর্সের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, ৩ দশমিক ৬ শতাংশ ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশের নাগরিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে মতামত পোস্ট করেন এবং ৩ দশমিক ৬ শতাংশ পেশাদার নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

প্রায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ পণ্য ও সেবার তথ্য খুঁজতে, ১১ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্রমণে থাকার জায়গার তথ্য জানতে, ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ সফটওয়ার বা অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডে এবং ৪৩ দশমিক ৪ শতাংশ ইমেইল পাঠাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এছাড়া প্রায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ চাকরি খুঁজতে বা চাকরির আবেদন পাঠাতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।

গত বছরের চেয়ে ২০২৩ সালে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবারে ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ৪৩ দশমিক ৬ শতাংশ পরিবারে ইন্টারনেট সুবিধা আছে, এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৬৩ শতাংশ এবং গ্রামাঞ্চলে ৩৭ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অনুপাত ৩৭ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে। 'দিনে অন্তত একবার' ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা ৬৮ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহে অন্তত একবার, কিন্তু প্রতিদিন নয় এমন ব্যবহারকারীর হার ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে কমে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশের ৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে কম্পিউটার আছে, এরমধ্যে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার ও ২৬ শতাংশ শহুরে পরিবার।

জরিপে দেখা গেছে, শহুরে বাসিন্দাদের ৬৮ দশমিক ৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, যা গ্রামের ক্ষেত্রে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

2h ago