রাশিয়া-ইউক্রেন শস্য চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব দিক বাংলাদেশ, অনুরোধ ব্যবসায়ীদের

রাশিয়া, ইউক্রেন, ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ, আইসিসি বাংলাদেশ, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই,
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ব্লাক সি শস্য চুক্তির জাহাজসহ বাণিজ্যিক জাহাজগুলো বসফরাস প্রণালী অতিক্রমের জন্য অপেক্ষা করছে। রয়টার্স ফাইল ফটো

বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেনের খাদ্যশস্য চুক্তি বা ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের (বিএসজিআই) মেয়াদ আবারও বাড়ানোর প্রস্তাব করতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বিএসজিআই নবায়ন করা না হলে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলো যে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিতে পড়বে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। আগামী ১৭ জুলাই বিএসজিআইয়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।

আজ মঙ্গলবার আইসিসি বাংলাদেশ, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, এমসিসিআই, সিসিসিআই ও এফআইসিসিআই এক যৌথ বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিএসজিআই এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩টি বন্দর থেকে ৩টি মহাদেশের ৪৫টি দেশে প্রায় ৩২ মিলিয়ন মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি করার সুবিধা দিয়েছে। এর মাধ্যমে স্বল্পোন্নত অর্থনীতিতে রপ্তানি করা গমের অনুপাত আগের তুলনায় অনেকাংশে অপরিবর্তিত আছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) রিপোর্ট অনুযায়ী ব্ল্যাক সির মাধ্যমে এই বাণিজ্যের প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে খাদ্য ও সার রপ্তানির মাধ্যমে ২০২২ সালের মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ২২ শতাংশ কমেছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) আবারও ইউক্রেন থেকে ২০২১ সালের মতো একই পরিমাণে গম অর্থাৎ, ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভের আওতায় প্রায় ৭ লাখ টন ক্রয় করছে। যা আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের মানবিক কার্যক্রমে সহায়তা করবে।

ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান খাদ্য ও সার রপ্তানির অব্যাহত সুবিধা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, বিএসজিআই চুক্তি নবায়ন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের খাদ্যের প্রাপ্যতা ও ক্রয় ক্ষমতাকে মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হওয়া থেকে রক্ষা করবে। চুক্তিটি নবায়ন না হলে সত্যিকার অর্থে বিশ্বের সর্বোপরি  সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

Comments