জাপানের কিছু অঞ্চলের খাদ্য আমদানি করবে না চীন
'নিরাপত্তাজনিত' কারণে জাপানের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা থেকে খাদ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখবে চীন। আজ শুক্রবার চীনা কাস্টমস এ তথ্য জানিয়েছে বলে নিক্কেই এশিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জাপানের রপ্তানি করা সামুদ্রিক খাবারের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। দেশটির কাস্টমসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপানের অন্যান্য অংশ থেকে আসা খাদ্য বিশেষ করে জলজ পণ্যের কাগজপত্র কঠোরভাবে পর্যালোচনা করবে চীন।
চীনের কাস্টমস জানিয়েছে, জাপান থেকে আমদানি করা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত ও পর্যবেক্ষণ অব্যাহতভাবে জোরদার করা হবে। এছাড়া জাপানের ১০টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে খাদ্য আমদানি বন্ধ থাকবে।
চীন বলছে, তেজস্ক্রিয় দূষিত জাপানি খাবার রপ্তানি রোধ ও চীনের নাগরিকদের জন্য আমদানি করা খাদ্যের নিরাপত্তা রক্ষায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে শোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে নিষ্কাশনের তীব্র বিরোধিতা করে আসছে চীন।
জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএএ) ২০১১ সালের সুনামির আঘাতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর চলতি সপ্তাহে জাপানকে ১০ লাখ টনেরও বেশি পানি নিষ্কাশনের সবুজ সংকেত দিয়েছে।
চীনের কাস্টমস বলেছে, এটির মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সব বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রতিবেদনে পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি। এই সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়নি।
Comments