কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: বাণিজ্য সচিব

থাইল্যান্ড, ব্যাংকক, তপন কান্তি ঘোষ,
বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন আয়োজিত সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার কাগজবিহীন ট্রেড সুবিধা সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।

আজ বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন আয়োজিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেড বাস্তবায়ন সংক্রান্ত কাউন্সিলের দ্বিতীয় সভার প্রথম দিনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, 'এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রস-বর্ডার পেপারলেস ট্রেডের সুবিধা সংক্রান্ত ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি বাস্তবায়নে কার্যকর ও যৌথ কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। আন্তঃসীমান্ত কাগজবিহীন বাণিজ্যের জন্য মজবুত প্রযুক্তিগত অবকাঠামো স্থাপন অত্যাবশ্যক। বাংলাদেশ কাগজবিহীন আন্তঃবাণিজ্য পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।'

'বাংলাদেশ ২০০৬ সালের ইলেকট্রনিক লেনদেন আইনসহ ইলেকট্রনিক লেনদেনের সঙ্গে সম্পর্কিত আইন ও প্রবিধান কার্যকর করেছে। এই আইনি বিধানের লক্ষ্য ই-কমার্স ও ইলেকট্রনিক বাণিজ্যকে সহজতর করে ইলেকট্রনিক রেকর্ড ডিজিটাল স্বাক্ষর এবং ইলেকট্রনিক চুক্তির আইনি বৈধতাকে স্বীকৃতি দেওয়া,' বলেন তিনি।

তপন কান্তি ঘোষ জানান, আন্তঃসীমান্ত কাগজবিহীন বাণিজ্যে ব্যক্তিগত তথ্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে বাংলাদেশ ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন করেছে, যা সাইবার নিরাপত্তা সমস্যা এবং সাইবার অপরাধের তথ্য সুরক্ষার সমাধান করছে। এছাড়া, বাংলাদেশ তার ডিজিটাল অবকাঠামো যেমন ইন্টারনেট সম্প্রসারণ, কানেকটিভিটি, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের ব্যবহারকে উন্নীত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।'

২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' রূপান্তরের কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের পর এখন ২০৪১ সালের মধ্যে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের কাজ চলমান আছে বলেও উল্লেখ করেন তপন কান্তি ঘোষ।

২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সভার প্রথম দিনের সেশনের শুরুতেই বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষকে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় এবং তিনি সভা পরিচালনা করেন। সভায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সদস্য রাষ্ট্র ছাড়াও ১৩টি পর্যবেক্ষক দেশ, বিশেষজ্ঞ দল এবং এডিবি ও ওয়ার্ড কাস্টমস অরগানাইজেশনসহ এসকাপ ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কাউন্সিল সভায় গত ১৯-২১ জুন একই ভেনুতে অনুষ্ঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্তগুলো গৃহীত হয় এবং বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

5h ago