পোলট্রি শিল্পে বড় চ্যালেঞ্জ রোগ-জীবাণু
পোলট্রি শিল্পে বিশ্বজুড়ে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ছে। পোল্ট্রি শিল্পের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আজ ঢাকায় ওয়ার্ল্ড ভেটেরিনারি পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউভিপিএ), বাংলাদেশ শাখা আয়োজিত বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।
দুই দিনব্যাপী এই বৈঠকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। জনপ্রতি মাংসের প্রাপ্যতা দৈনিক ১৬০ গ্রাম এবং বছরে ডিমের প্রাপ্যতা ২০৮টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্য পূরণ করতে হলে একদিকে যেমন উৎপাদন ব্যয় কমাতে হবে, সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য ডিম ও মাংসের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।
শাহজাদা বলেন, আমরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে চাই এবং এক্ষেত্রে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি বলেন, এ শিল্পের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বেসরকারি উদ্যোক্তা, শিক্ষক, গবেষক এবং সরকার একযোগে কাজ করছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য আবু লুৎফে ফজলে রহিম খান শাহরিয়ার বলেন, কিভাবে উৎপাদন খরচ কমানো যায় সেটিই এখন প্রধান বিবেচ্য। রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ কমাতে পারলে উৎপাদন খরচ এমনিতেই কমে আসবে।
তিনি বলেন, আমরা রপ্তানির কথা ভাবছি কিন্তু নিরাপত্তার মাপকাঠিতে ডিম ও মুরগির মাংসের মান আরও বৃদ্ধি করতে না পারলে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হবে।
গ্লোবাল ডব্লিউভিপিএ প্রেসিডেন্ট নিকোলাস ইতেরাদোসি বলেন, বিশ্বব্যাপী রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ছে। পোলট্রি শিল্পের জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ফ্রান্সের গবেষক ক্রিস্টোফি কাজাবান বলেন, একসঙ্গে একাধিক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটলে মুরগির মৃত্যুর হার বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কখনও কখনও লো-প্যাথজনিক ভাইরাসও হাইলি প্যাথজনিক ভাইরাসের মতো ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করছে।
ডব্লিউ ভি পি এ বাংলাদেশ শাখার সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. বিশ্বজিৎ রায় জানান, পোল্ট্রি শিল্পকে এগিয়ে নিতে হলে বৈজ্ঞানিক গবেষণাকে এগিয়ে নিতে হবে এবং ভেটেরিনারিয়ানদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
Comments