বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম, ২ দিনে ভারতে রপ্তানি ২৭ টন

রপ্তানির জন্য ইলিশ প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। ছবি: টিটু দাস/ স্টার

দক্ষিণাঞ্চলের বড় মোকামগুলোতো ইলিশের সরবরাহ কম। ২ দিনে ভারতে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২৭ টন ইলিশ। গতকাল সোমবার থেকে রপ্তানি শুরু হয়েছে বলে মৎস বিভাগ জানিয়েছে।

বেনাপোলে সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট নাজমুল হোসেন বাপ্পী দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, প্রথম দিনে মাত্র ৮ টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে। তবে আজ মঙ্গলবার থেকে অধিক সংখ্যক ইলিশ রপ্তানি হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা, চাঁদপুর, বরিশাল, চট্টগ্রাম থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৯ টনের মতো ইলিশ ভারতে গেছে।

রপ্তানিকারকদের একটি সূত্র জানায়, অন্তত প্রতিদিন ১০০ টনের মতো ইলিশ রপ্তানি না হলে এবারেও টার্গেট পূরণ হবে না।

মূলত ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ভারতে যাচ্ছে। তবে এর চেয়েও আকারে কিছু বড় মাছও রপ্তানি হচ্ছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ৪৯ জন রপ্তানিকারক মোট ২ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করবেন। প্রতি জন ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করবেন।

বরিশালের ইলিশ ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস জানান, বাজারে ইলিশের সরবরাহ তুলনামূলক কম। আগে প্রতিদিন ২ থেকে ৩টি ট্রলার নিয়ে অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ মণ মাছ আসতো। এখন পরিমাণ অর্ধেকে নেমে গেছে।

ছবি: টিটু দাস/ স্টার

বরিশালের পোর্ট রোড ইলিশের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৭০০-৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ১০০ টাকা, ১ কেজি থেকে ১ হাজার ২০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১ হাজার ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং ২ কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মৎস কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, আগে পোর্ট রোড বাজারে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ মণ মাছ আসতো। এখন ৩০০ মণেরও কম আসছে।

তিনি জানান ৭০০-৯০০ গ্রামের লোকাল ইলিশ ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় মৎস অফিসের উপ পরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার জানান, বরিশাল ছাড়াও কুয়াকাটা ও মহিপুর থেকে ইলিশ পাঠানো হলেও বাজারে সরবরাহ অনেক কম। সাধারণত ইলিশ মাছ জো এর উপর নির্ভর করে ধরা হয়। আগামী জোতে ইলিশ বাড়তে পারে।

ইলিশ রপ্তানিকারক মাহিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী নিরব হোসেন টুটুল জানান, গতকাল যে ৮ টন মাছ গেছে সেটি আমিই পাঠাতে পেরেছি। তিনি বলেন, গতবার সময় কম দেওয়ায় অনেক ব্যবসায়ী ইলিশ মাছ পাঠাতে পারেননি। তবে এবার সময় পাওয়া যাওয়ায় এই সমস্যা হবে না।

তিনি দাবী করেন, ইলিশ রপ্তানির কথা শুনে বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়তে শুরু করেছে এবং দামও প্রতি মণে ১ হাজার টাকা কমতে শুরু করেছে। গতকাল ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের মাছ ৪৪ হাজার টাকা মণ থাকলেও আজকে তা নেমে গেছে ৪৩ হাজারে। এই দরপতন অব্যাহত থাকবে আশা করছি। তাহলে আমরা কিছুটা লাভ করতে পারবো। অন্যথায় ইলিশ রপ্তানিতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা কম।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (রপ্তানি-২ অনুশাখায় কর্মরত) তানিয়া ইসলাম জানান, আমরা রপ্তানির দর ঠিক করে দেইনি। গতবারে অল্প সময়ে রপ্তানির সময়সীমা ছাড়াও ইলিশ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সময়সীমা কম ছিল। এবারে আবেদন যাচাই করে সক্ষমতার ভিত্তিতে ৪৯ জনকে ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Unveil roadmap or it’ll be hard to cooperate

The BNP yesterday expressed disappointment over the absence of a clear roadmap for the upcoming national election, despite the demand for one made during its recent meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus.

6h ago