ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ান সিনেটরের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ

সিনেটর ফাতিমা পেম্যান। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের এক লেবার সিনেটর দুটি পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়া সরকারের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, 'সিনেটর ফাতিমা পেম্যান পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং বৈদেশিক বিষয়ক, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য আইন সংক্রান্ত যৌথ স্থায়ী কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন।'

সিনেটর পেম্যান প্রধানমন্ত্রীসহ তার সহকর্মীদের 'যা সঠিক তার পক্ষে দাঁড়ানোর' আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, তার বিবেক অনেকদিন ধরে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ছিল, কারণ তিনি দূর থেকে গাজার যুদ্ধ দেখছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম হিজাব পরিহিত সিনেটর ফাতিমা পেম্যান এ মাসের শুরুতে একটি বিবৃতির জন্য মর্যাদাপূর্ণ সংসদীয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করার জন্য চাপের মুখে পড়েছিলেন।

পেম্যান তার বিবৃতিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'আমি আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের পার্লামেন্ট সদস্যদের জিজ্ঞাসা করি যে, ইসরায়েলকে সমর্থনের জন্য কতগুলো আন্তর্জাতিক অধিকার আইন ভঙ্গ করতে হবে? ম্যাজিক সংখ্যা কী? কত গণকবর দরকার? খুন হওয়া শিশুদের রক্তাক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কয়টি ছবি দেখতে হবে?'

তিনি আরও বলেন, এটি একটি গণহত্যা এবং আমাদের ভান ধরা বন্ধ করতে হবে। স্বচ্ছতার অভাব, নৈতিক বিভ্রান্তি, সিদ্ধান্তহীনতা এই জাতির হৃদয়কে গ্রাস করছে।' 

'নদী থেকে সমুদ্র, ফিলিস্তিন স্বাধীন হবে,' বলেন তিনি।

ইহুদি সম্প্রদায় এই স্লোগানটিকে ইসরায়েলের ধ্বংসের আহ্বান হিসেবে নিন্দা করেছে।

সম্প্রতি রাফা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর সিনেটর পেম্যান আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এ আহ্বানের পুনরাবৃত্তি করেছিলেন।

তিনি লিখেছেন, 'আমাদের অবশ্যই এই গণহত্যার অবসান দাবি করতে হবে, সব বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে হবে।'

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবেনিজ একজন 'তরুণ সিনেটর' হিসেবে ফাতিমা পেম্যানের বক্তব্যকে উপেক্ষা করেছেন এবং বলেছেন, 'এটা অনুপযুক্ত, আমি সরকারের পক্ষে কথা বলছি।'

বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডাটন প্রধানমন্ত্রী আলবেনিজকে 'দুর্বল নেতৃত্ব' হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন এবং পেম্যানকে দল থেকে অপসারণের আহ্বান জানিয়েছেন।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Income inequality in Bangladesh

Growth obsession deepened rich-poor divide

Income inequality in Bangladesh has seen a steep rise over the past 12 years till 2022, according to official data, as economists blame a singular focus on growth rather than sorting out income disparities.

16h ago