আটলান্টিকের পাড়ে একখণ্ড বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের ফ্লোরিডা অ্যাটলান্টিক ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কাছে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখান থেকে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বহু বাংলাদেশী শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করেছে। কেউ বা আরো উচ্চতর গবেষণার জন্য পোস্ট-ডক্টরাল প্রোগ্রামসমূহকে বেঁচে নিয়েছে।
এই বিশ্ববিদ্যালয় ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বোকা র্যাটনে শহরে অবস্থিত। অ্যাটলান্টিক সাগরপাড় থেকে মাত্র দশ মিনিট ও মায়ামি থেকে উত্তরদিকে মাত্র এক ঘন্টার দূরত্বে অবস্থিত এইখানে শতাধিক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডিতে অধ্যায়ন করছেন।
এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য চলতি মাসের ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়স্থ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন সেন্টারে এক নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের- ফ্লোরিডা অ্যাটলান্টিক ইউনিভার্সিটির (বিএসএ-এফএইউ) নবীনবরণ অনুষ্ঠানটি নতুন ও পুরনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের মিলনমেলায় পরিণত হয়। অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মায়ামিস্থ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র বিভাগের কনস্যুলার জেনারেল ইকবাল আহমেদ।
তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের অভিবাসীদের জন্য নানামুখী কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। সঙ্গে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় আরও নজর দেওয়ার আহ্বান জানান। উক্ত নবীনবরন অনুষ্ঠানে ফ্লোরিডা অ্যাটলান্টিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্ঠা হাসান মাহফুজ, অধ্যাপক খালেদ সোবহান, সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বি এম গোলাম কিবরিয়া, ক্যাপজুর ফারমাসিউটিক্যালের সিইও আবুল নাইম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এ্যাসোসিয়েশন অব ফ্লোরিডা ইনকের পক্ষে কবিতা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ রাজেউন ইসলাম সেতুর সার্বিক তত্বাবধানে অনুষ্ঠানটি স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর আমন্ত্রিত সকল অতিথীদের উপস্থিতিতে নবীন শিক্ষার্থীদের সাথে সকলকে পরিচয় করিয়ে দেয়া ও স্বাগত উপহার প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের মাঝে বাংলাদেশী ঐতিহ্যবাহী খাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন হয়েছিলো। খাবারের পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় বাংলা কবিতা, সঙ্গীত এবং মঞ্চনাটকসহ মনোমুগ্ধকর দেশীয় বিনোদন উপভোগ করেন উপস্থিত শ্রোতা–দর্শকেরা। শেষে র্যাফেল ড্র প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
Comments