আবুধাবিতে স্থায়ী দূতাবাস ভবনের জন্য জমি পেল বাংলাদেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির নতুন কূটনৈতিক জোনে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিজস্ব স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য ৫ হাজার ৫১৫ বর্গমিটার প্লট বরাদ্দ দিয়েছে দেশটির সরকার।
আজ বুধবার আবুধাবিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রোটোকল চুক্তি সই হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ ও আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে যৌথ কনস্যুলার কমিটি গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকও সই হয়।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি নিজ নিজ সরকারের পক্ষে প্রোটোকল ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
চুক্তি অনুযায়ী, কূটনৈতিক জোনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন শেষ হলে আমিরাত কর্তৃপক্ষ দূতাবাসের কাছে প্লট হস্তান্তর করবে। এরপর বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ী দূতাবাস কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শুরু করবে। এতে দূতালয়, রাষ্ট্রদূতের বাসভবন, অডিটোরিয়ামসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য অবকাঠামো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে বাংলাদেশ সরকার ২০১৪ সালে ঢাকায় আমিরাতের দূতাবাসের জন্য বারিধারায় একটি প্লট বরাদ্দ করে। এর বিনিময়ে ২০২০ সালে আমিরাত সরকার আবুধাবিতে ৪ হাজার ২৪৬ বর্গমিটারের একটি প্লট বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য বরাদ্দ দেয়।
কিন্তু সে দেশে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিকে সেবা দেওয়াসহ বিভিন্ন কূটনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনায় সুপরিসর ভবন ও প্রয়োজনীয় স্থাপনার জন্য এ জমি অপর্যাপ্ত ছিল। এ জন্য ২০২১ সালে আরও বড় প্লট বরাদ্দের জন্য আমিরাত সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সরকার নতুন প্লটটি বরাদ্দ দেয়, যা আগের বরাদ্দকৃত প্লটের চেয়ে প্রায় ১ বিঘা বেশি।
বাংলাদেশ ও আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কনস্যুলার কমিটি গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারকের আওতায় একটি উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন যৌথ কনস্যুলার কমিটি গঠিত হবে।
এ কমিটি নিয়মিত বৈঠকে বসবে এবং নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য কনস্যুলার ও কল্যাণ সেবা দ্রুত ও সহজ করতে, বিচারাধীন মামলাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জটিল কনস্যুলার সমস্যা পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতা মাধ্যমে নিষ্পত্তি করতে কাজ করবে। কমিটির কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে এক বা একাধিক সাব-কমিটিও গঠন করতে পারবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর বলেন, 'আজ এ প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সম্পাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও আরব আমিরাতের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্কের প্রতিফলন ঘটেছে। এগুলোসহ এর আগে সই করা অন্যান্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শিগগির অংশিদারত্বের পর্যায়ে উন্নীত হবে।'
লেখক: আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক
Comments