বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত হলেন মিশরের ৫ নাগরিক
মিশরের ৫ ব্যবসায়ীকে বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। দেশটির কূটনৈতিক মহলে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত 'ডিপ্লোম্যাসি ম্যাগাজিন'-এর পঞ্চম বার্ষিক 'ডিপ্লোমেসি অ্যাওয়ার্ডস-২০২৩' অনুষ্ঠানে তারা শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নির্বাচিত হন।
গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় মিশরের রাজধানী কায়রোর কনকর্ড এল সালাম হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলাম নির্বাচিত ৫ শুভেচ্ছাদূতের হাতে সনদ ও স্মারক তুলে দেন।
এ সময় 'ডিপ্লোম্যাসি ম্যাগাজিন'-এর নির্বাহী সম্পাদক আবদেল হাই মোখতার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূতেরা হলেন, ইজিপ্টশিয়ান অ্যান্ড সৌদি এক্সপার্ট অ্যান্ড ইমপোর্টের সিইও আশরাফ লাসিন, ফুডি হাব কোম্পানির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর নাদিয়া আইমান, ইউনাইটেড ইজিপ্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ আল-সাঈদ, হররেয়া ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার হাসান ইল ফান্দি, ম্যাকাসরাতি কোম্পানির নির্বাহী পরিচালক মাগদি এয়াহিয়া।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্য বলেন, 'বাংলাদেশ ও মিশরের পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমানে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা, বিনিয়োগ ও পর্যটন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মে মাস থেকে ঢাকা-কায়রো সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে।'
তিনি নির্বাচিত শুভেচ্ছাদূতদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তারা বাংলাদেশ ও মিশরের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে আরও উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করবেন বলে আশা করি।
রাষ্ট্রদূত কৃষি, বাণিজ্য, পর্যটন ও শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে শুভেচ্ছাদূতদের সহযোগিতার অনুরোধ জানান।
বর্ষসেরা কুটনীতিকদের 'ডিপ্লোমেসি অ্যাওয়ার্ড' প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলামকে বিশেষ কূটনৈতিক সম্মাননা দেওয়া হয়।
নির্বাহী সম্পাদক আবদুল হাই মোখতারসহ 'ডিপ্লোম্যাসি ম্যাগাজিন'-এর ব্যবস্থাপনা পরিষদ তার হাতে সম্মাননা পদক ও সনদ তুলে দেন।
এর আগে, গত বছর এশীয় অঞ্চল থেকে বর্ষসেরা রাষ্ট্রদূত নির্বাচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় শিল্পী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সুশীলসমাজ সদস্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা।
লেখক: মিশরপ্রবাসী সাংবাদিক
Comments