লিসবনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কেক কাটা আর সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরক প্রবাসীদের সম্মাননার মাধ্যমে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
শিশু-কিশোরদের নিয়ে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকীতে কেক কাটছেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান। ছবি: সংগৃহীত

আলোচনা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কেক কাটা আর সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরক প্রবাসীদের সম্মাননার মাধ্যমে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

গত ১৭ মার্চ সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রমের সূচনা করেন রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান।

বাংলাদেশ কমিউনিটির পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষে থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এ সময় জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্য ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দিবসের আলোচনার শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনাকালে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

বঙ্গবন্ধুর কিশোর জীবনের মানবিক গুণাবলি ও শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বলেন, 'জাতির পিতার অনুকরণীয় আদর্শ বাঙালিদের নিরন্তর অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে।'

তিনি বলেন, 'শিক্ষা-দীক্ষা-আদর্শে শিশুরা যেন উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারেম সে লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু সব চেষ্টা করে গেছেন।'

দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত শিশু-কিশোরদের রচনা প্রতিযোগিতায় ৩টি পৃথক ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

এ ছাড়া, সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরক সেরা ১০ প্রবাসী বাংলাদেশিকে 'রেমিট্যান্স সম্মাননা সনদ' এবং তাদের মধ্যে শীর্ষ ৩ জনকে 'অগ্রাধিকারভিত্তিক সেবা কার্ড' তুলে দেন রাষ্ট্রদূত।

বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ দিতে এ বছরই  প্রথমবারের মতো 'সম্মাননা সনদ' চালু করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

লেখক: পর্তুগালপ্রবাসী সাংবাদিক

 

Comments