ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নৃশংসতায় ওআইসিতে বাংলাদেশের উদ্বেগ

জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরায়েলের সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে ওআইসির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

মানবিক ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান নৃশংসতা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলের বসতি সম্প্রসারণ বিষয়ে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। 

আজ সোমবার সৌদি আরবের জেদ্দায় সংস্থার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে দখলদার ইসরায়েলের সংঘটিত অপরাধ বিষয়ে ওআইসির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

জেদ্দার বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল ও ওআইসিতে বাংলাদেশের বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ নাজমুল হক উদ্বেগের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। 

বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সৌদি আরবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ছাড়াও তুরস্ক, পাকিস্তান, নাইজার, মৌরিতানিয়া, মিশর, ইরাক, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মালয়েশিয়া, লেবানন, ইন্দোনেশিয়া ও মরক্কোর প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন। সভা শেষে এ বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি গৃহীত হয়।

সভায় বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল বলেন, 'সম্প্রতি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে এবং ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও খারাপ হচ্ছে। গত বছর অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম জুড়ে কমপক্ষে ৩০ শিশুসহ ১৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কেবল চলতি বছরে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।'

মোহাম্মদ নাজমুল হক সম্প্রতি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আরও বসতি নির্মাণ ও সম্প্রসারণ বিষয়ে ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের গভীর হতাশা ও উদ্বেগের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, 'ইসরায়েলের এ ধরনের আগ্রাসন ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করছে।'

ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল-আকসা মসজিদ এবং ফিলিস্তিনিদের মাতৃভূমিকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। 

কনসাল জেনারেল ইসরায়েলি বসতি পরিকল্পনা নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্টের সম্প্রতি জারি করা বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'দখলদার শক্তি ইসরায়েলকে যেকোনো ধরনের বর্বরতা, নৃশংসতা ও বলপ্রয়োগ থেকে বিরত রাখতে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে আমরা নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।'

তিনি ক্রমবর্ধমান সহিংসতা কমাতে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার আয়োজন করায় জর্ডানের প্রশংসা করেন।

কনসাল জেনারেল পূর্ব জেরুজালেমের রাজধানী হিসেবে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন স্বদেশ এবং একটি সার্বভৌম এবং কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। 

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago