কুইন্সল্যান্ডে ২ পুলিশ কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা

সংবাদ সম্মেলনে কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল বক্তব্য দিচ্ছেন। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ব্রিসবেন থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পশ্চিমে উইয়াম্বিলায় সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সন্ধ্যা ৬টার পর ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কুইন্সল্যান্ড পুলিশ। 

জরুরি অবস্থা চলাকালে বাসিন্দাদের অবশ্যই বাড়ির ভেতরে থাকতে হবে। জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কুইন্সল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার ক্যাটারিনা ক্যারল এক সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডের  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, 'গভীর দুঃখের সঙ্গে আমি আজ বিকেলে ওয়েস্টার্ন ডাউনসে ২ অফিসারসহ ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করছি।'

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এক শোকবার্তায় বলেছেন, 'আজ উইয়াম্বিলায় ভয়ানক দৃশ্য তৈরি হয়েছে এবং যারা কর্তব্য পালন করতে গিয়ে জীবন হারিয়েছেন, সেই কুইন্সল্যান্ড পুলিশ অফিসারদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য একটি হৃদয়বিদারক দিন। শোকাহতদের প্রতি আমার সমবেদনা। অস্ট্রেলিয়া আপনাদের সঙ্গে শোক করছে।'

পুলিশ জানায়, নিউ সাউথ ওয়েলসের একজন নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে উইয়াম্বিলার ওয়েনস রোডের একটি বাড়িতে ৪ জন পুলিশ অফিসার অভিযানে গিয়েছিলেন। সেখানে ২ অফিসারকে গুলি করা হয় এবং ঘটনাস্থলেই তারা মারা যান।

এ সময় একজন সাধারণ নাগরিকও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গুলিবিদ্ধ এক পুলিশ অফিসার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কুইন্সল্যান্ডের প্রিমিয়ার আনাস্তাসিয়া প্যালাসজুক বলেছেন, 'পুরো রাজ্য দুঃখ প্রকাশ করছে। আমি নিহতদের পরিবার এবং সামগ্রিকভাবে কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস পরিবারের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা জানাই।' 

তিনি আরও বলেন, 'পুলিশ আমাদের নিরাপদ রাখতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে থাকে। আমি জানি কুইন্সল্যান্ড আমাদের শোক ও দুঃখ প্রকাশে আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছে।' 

পুলিশমন্ত্রী মার্ক রায়ান বলেছেন, 'কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস আজ রাতে দুই নায়ককে হারিয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা।' 

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

17h ago