ভেঙে দেওয়া হলো মালয়েশিয়ার সংসদ, আগাম নির্বাচনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

টেলিভিশনে ভাষণ দিচ্ছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব। ছবি: সংগৃহীত

মেয়াদ শেষের ৯ মাস আগেই সোমবার মালয়েশিয়ার সংসদ ভেঙে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব। এর মধ্যে দিয়ে তিনি দেশটির ১৫তম জাতীয় নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করলেন।

মালয়েশিয়ায় সংসদ ভেঙে যাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার নিয়ম।

প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল বলেছেন, 'মনোনয়ন এবং নির্বাচনের তারিখসহ এ সংক্রান্ত অন্য বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।'

সোমবার টেলিভিশনে এক ভাষণে রাজার সম্মতিতে সংসদ ভাঙার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব।

তিনি জানান, ফেডারেল সংবিধানের আইন অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন মালয়েশিয়ার রাজা আল-সুলতান আব্দুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তাফা বিল্লাহ শাহ।  

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'সাবাহ, সারাওয়াক, মেলাকা ও জহুর ছাড়া মালয়েশিয়ার অন্য রাজ্য সরকার তাদের নিজ নিজ বিধানসভা ভেঙে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, যেন একযোগে ১৫তম সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করা যায়।'

সংসদ ভেঙে দেওয়ার আগে রাজপ্রাসাদে সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমেদ শাহের (বামে) সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত এবং খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি জনগণের যেন কোনো সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে একই সময়ে সব জায়গায় নির্বাচন পরিচালনা করা উচিত।'

এ ছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং একটি দৃঢ়, স্থিতিশীল সরকার গঠন নিশ্চিত করতে জনগণের সমর্থন পাওয়াই এখন সবচেয়ে বড় বিষয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি। 

'জনগণ ভোট দিয়ে এমন সরকার বেছে নেবে যারা বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও জাতিগোষ্ঠীর মালয়েশিয়ান পরিবারের ঐক্য ও সম্প্রীতি রক্ষা করবে এবং আগামী ২০২৩ সালের বাজেট বাস্তবায়ন পুনরায় শুরু করার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সক্ষম হবে,' আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বর্তমান সংসদের মেয়াদ ছিল আগামী বছরের ১৬ জুলাই পর্যন্ত। 

তবে ক্ষমতাসীন জোটের কিছু গোষ্ঠীর থেকে একটি শক্তিশালী ম্যান্ডেটের জন্য এবং জোটের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে নির্বাচন দেওয়ার জন্য চাপের মধ্যে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতি যখন ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং বিশ্বব্যাপী মন্দাভাব অনুভব করতে শুরু করে ঠিক তখনই নির্বাচনটি হবে। বছর শেষে বর্ষা মৌসুম এবং বন্যার সময় নির্বাচন হচ্ছে না, হলে হয়তো ভোটার উপস্থিতি কমে যেত।

ইসমাইলের ক্ষমতাসীন জোট এবং বিরোধী দলের অনেক আইনপ্রণেতা প্রত্যাশিত বন্যার কারণে এ বছর নির্বাচন আয়োজনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Commercial banks’ lending to govt jumps 60%

With the central bank halting direct financing by printing new notes, the government also has no option but to turn to commercial banks to meet its fiscal needs.

11h ago