পৃথিবীর প্রথম টেস্ট ম্যাচে খেলেছিলেন ঢাকায় জন্ম নেওয়া এক ক্রিকেটার

সফরকারী পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার জন্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার ব্রিটিশ উপনিবেশের ১১ জন ক্রিকেটার নিয়ে একটি দল গঠন করে অস্ট্রেলিয়া। ১৮৭৭ সালের মার্চ মাসে গঠন করা সেই দলটির মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের ইতিহাস শুরু।
ব্রান্সবি বিউচ্যাম্প কুপার। ছবি: সংগৃহীত

সফরকারী পেশাদার ইংরেজ ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলার জন্য নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার ব্রিটিশ উপনিবেশের ১১ জন ক্রিকেটার নিয়ে একটি দল গঠন করে অস্ট্রেলিয়া। ১৮৭৭ সালের মার্চ মাসে গঠন করা সেই দলটির মাধ্যমেই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলের ইতিহাস শুরু।

খেলাটি এখন পৃথিবীর প্রথম টেস্ট ম্যাচ হিসেবে স্বীকৃত। ৪৫ রানের জয়ে উৎসাহিত হয়ে অস্ট্রেলিয়ানরা বিশ্বাস করতে শুরু করেন, তাদের নিজেদের মাটিতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো যথেষ্ট ক্রিকেট প্রতিভা রয়েছে।

১৮৭৭ সালের ১৫ থেকে ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচটির ভেন্যু ছিল মেলবোর্ন। ডেভ গ্রেগরির নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওপেনার চার্লস ব্যানারম্যান ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার আলফ্রেড শ'র কাছ থেকে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ডেলিভারির মুখোমুখি হন।

তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ঢাকায় ১৮৪৪ সালের ১৫ মার্চ জন্মগ্রহণ করা ব্রান্সবি বিউচ্যাম্প কুপার অস্ট্রেলিয়ান প্রথম ক্রিকেট দলের একজন সদস্য হিসেবে ওই ম্যাচটি খেলেছিলেন। অবিভক্ত ভারতে জন্ম নেওয়া তিনিই প্রথম খেলোয়াড় যিনি ১৪৫ বছর আগে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে উদ্বোধনী টেস্ট ম্যাচটি খেলেন।

ব্রান্সবি বিউচ্যাম্প কুপারের বাবা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকায় কর্মরত ছিলেন এবং ১৮৫৭ সালে মারা যান। এরপর কুপারের মা হেমেল হেম্পস্টেডে ইংল্যান্ডে ফিরে যান। কুপার সেখানে রাগবি স্কুলে ভর্তি হন।

১৮৬০ থেকে ১৮৬২ সাল পর্যন্ত স্কুল একাদশে ক্রিকেট খেলেছেন কুপার। তার প্রশিক্ষক ছিলেন আলফ্রেড ডাইভার।

অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার আগে তিনি মিডলসেক্স ও কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে অপেশাদার হিসেবে ইংল্যান্ডে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেন।  তিনি ছিলেন একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান ও উইকেট রক্ষক।

১৮৭৫ সালে হেলেন উইলকিনসনকে বিয়ে করার পর কুপার ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। তিনি ৭০ বছর বয়সে ৭ আগস্ট ১৯১৪ সালে ভিক্টোরিয়ার জিলংয়ে মারা যান।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments