ইতালিতে পাসপোর্ট সংশোধনের দাবিতে প্রবাসীদের বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২

ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ভুক্তভোগী বাংলাদেশিদের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ইতালির রাজধানী রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে পাসপোর্টে বয়স সংশোধনের সমাধান না পেয়ে শতাধিক বাংলাদেশি বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রোম পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই কারণ জানাতে পারেনি বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

গতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এসব ঘটনা ঘটে।

এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে রোম পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়ায়। পরবর্তীতে দূতাবাস ও  বিক্ষোভকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে বৈঠকের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বিক্ষোভকারী এই বাংলাদেশিরা তাদের পাসপোর্টে বয়স সংশোধন বিষয়ক সমস্যায় ভুগছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে পাসপোর্টে কেউ তার বয়স ৫ বছরের বেশি কমাতে বা বাড়াতে চাইলে সেই আবেদন গ্রহণের সুযোগ নেই এবং গত এপ্রিলে সেই সুযোগও শেষ হয়ে যায়। তাই দূতাবাসের পক্ষে বয়স সংশোধনের আবেদন গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ইতালি সরকারের স্টে-পারমিট অনেক বাংলাদেশি পেলেও সংশোধিত বয়সে পাসপোর্ট নবায়ন করতে না পারায় তারা বৈধতা হারাতে যাচ্ছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রবাসীদের কাছে জানা যায়, পাসপোর্ট সমস্যার কোনো সমাধান না পেয়েই ভুক্তভোগীরা দূতাবাসে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছেন।

তাদের দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে পাসপোর্টে বয়স সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা, পাসপোর্ট না পেলে তারা বৈধ থেকে অবৈধ হয়ে যাবেন।

দূতাবাসের পাসপোর্ট উইংয়ের কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠকে বসে তাদের সমস্যা ও দাবির কথা শোনেন। বৈঠকে দাবির বিষয়ে যুক্তি সংগত কারণ দেখিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়ে উভয়পক্ষ ঐক্যমতে পৌঁছে।

ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শামীম আহসান দূতাবাস ভবনের বাইরের এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের শান্ত করেন। এ সময় ভুক্তভোগী প্রবাসীরা  রাষ্ট্রদূতের কাছে তাদের স্মারকলিপি তুলে দেন।

তাদের বয়স সংশোধনের বিষয়টি ঢাকায় জোরালোভাবে তুলে ধরে সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন রাষ্ট্রদূত।

Comments

The Daily Star  | English

Commercial banks’ lending to govt jumps 60%

With the central bank halting direct financing by printing new notes, the government also has no option but to turn to commercial banks to meet its fiscal needs.

11h ago