রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ, নার্সকে শোকজ

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক রোগীর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ সরকারি স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ উঠেছে এক নার্সের বিরুদ্ধে।

বুধবার সকালের এ ঘটনায় অভিযুক্ত নার্স শামীমাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রিয় গোপাল বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ভুক্তভোগী রোগী হানিফ হাওলাদারের (৬০) ছেলে জাকারিয়া হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল ৭টার দিকে নার্স শামীমা আমার বাবার শরীরে সরকারি স্যালাইন পুশ করেন। দুই-তৃতীয়াংশ স্যালাইন দেওয়ার পর আমার ছোট বোন হাসিনা বেগম দেখতে পান যে স্যালাইনটির মেয়াদ নেই।'

'তখন দ্রুত স্যালাইন অপসারণ করা হলেও, বাবার শরীরে জ্বালাপোড়া ও ব্যথা শুরু হয়,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, 'ওই রোগী শরীরে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। তার উচ্চ রক্তচাপ ছিল। এ অবস্থায় নার্স শামীমা স্যালাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ না দেখেই তার শরীরে সেটি পুশ করে দেন।'

'পরে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। বর্তমানে রোগী স্বাভাবিক আছেন। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে,' বলেন তিনি।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, 'অভিযুক্ত নার্স শামীমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।'

'স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যালাইন ও ওষুধসহ মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে স্টোর কিপার ও নার্সিং ইনচার্জকে বলা হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

এর আগে গত ৪ মার্চ মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরেক রোগীকে মেয়াদোত্তীর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।