পাবনায় অনিবন্ধিত ২০ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা
পাবনায় অনিবন্ধিত ২০টি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গত ৩ দিন অভিযান চালিয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সেগুলো সিলগালা করে দেন।
দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করে পাবনা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেন, 'গত সোমবার থেকে পাবনায় এ অভিযান শুরু হয়। গত ৩ দিনে পাবনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ২০টি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে। একই সময় লক্ষাধিক টাকা জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।'
গত ২৬ মে দেশব্যাপী অনিবন্ধিত সব বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপরই এই অভিযান শুরু হয়।
সিলগালা করে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—পাবনা সদর হাসপাতাল রোডের সৌদিয়া হাসপাতাল (ক্লিনিক), মধুপুর ক্লিনিক, নদী ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হেলথ কেয়ার ক্লিনিক, শালগাড়ীয়ার এসোট গ্যাস পাম্প এলাকার মায়ের আঁচল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, টার্মিনাল মক্কা প্লাজার গ্লোরিয়াস হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফরিদপুরের লাইফ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেড়ার নাটিয়াবাড়ি ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফরিদপুরের তেতুলতলা মোড়ের কনফিডেন্স ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চাটমোহরের জনতা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শহীদ মিথুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রাইম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সাঁথিয়ার আতাইকুলার মোহনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হালিমা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ যমুনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেড়া হাসপাতালের সামনের সরকার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বেড়ার শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সিঅ্যান্ডবি বাজারের বিল্লাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও দাশুড়িয়ার সৃষ্টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সিভিল সার্জন বলেন, 'রেজিস্ট্রেশন ও কাগজপত্র হালনাগাদ না থাকায় অবৈধভাবে পরিচালিত এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হালনাগাদ করে এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো পুনরায় চালু করা যাবে।'
অবৈধ ও অনুমোদনবিহীন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Comments