চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে, মেঝেতে-করিডোরে চলছে চিকিৎসা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ করেই গত ২ সপ্তাহে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। বর্তমানে শিশুরা বেশি এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ১৮ শয্যার ওয়ার্ডে শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চলছে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা। ওয়ার্ড ছাড়িয়ে মানুষ চলাচলের করিডোরেও চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বিভিন্ন বয়সী শিশুদের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কয়লা দিয়াড় গ্রামের ৪ মাস ১৩ দিন বয়সী আরিশা ইসলামকে গত শুক্রবার এখানে ভর্তি করা হয়।
তার মা শামসুন্নাহার বলেন, 'হাসপাতাল থেকে ওষুধ ও স্যালাইন দিলেও শয্যা না থাকায় বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে আমার শিশুকন্যা।'
একই অবস্থা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ১৩ মাস বয়সী ফাহমিদা ও সদর উপজেলার দেবীনগর গ্রামের ৪ বছরের মাহমুদুল্লাহর।
তাদের অভিভাবকরা জানান, কোনো উপায় না থাকায় এই গরমের মধ্যে তাদের শিশুদের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. মাসুদ পারভেজ জানান, এক সপ্তাহে (১৯ থেকে ২৫ এপ্রিল) ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২০৭ জন। এর আগের সপ্তাহে (১২-১৮ এপ্রিল) ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হন ১৮৫ জন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।
তিনি জানান, সম্প্রতি শিশুদের ডায়রিয়া আক্রান্তের হার বেড়েছে। এর কারণ রোটা ভাইরাস। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে শিশুরা খাবারের বিষয়ে সচেতন থাকলে ডায়রিয়া রোধ করা সম্ভব।
তিনি আরও জানান, ১৮ শয্যার বিপরীতে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় শয্যা না পেয়ে অনেকে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে রোগী বেশি হলেও হাসপাতালে স্যালাইনসহ ওষুধের কোনো ঘাটতি নাই।
Comments