অস্ত্রোপচারের সময় জুডো খেলোয়াড়ের মৃত্যু, অভিযোগ নিয়ে থানায় স্বজন
আঙুলের অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে রাজধানীর গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে জুডো খেলোয়ার প্রিয়াংকা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় মারা গেছেন প্রিয়াংকা।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে কলাবাগান থানার ডিউটি অফিসার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রিয়াংকা আক্তারের স্বজনরা থানায় আছেন। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় প্রিয়াংকা আক্তার মারা গেছেন। আমরা অভিযোগ শুনছি, পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রিয়াংকার বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গ্রামে।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাবেক ফুটবলার শরিফ হোসেন জানান, প্রিয়াংকার সঙ্গে তার বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়েছিল।
তার দাবি, চিকিৎসকের ভুলেই প্রিয়াংকার মৃত্যু হয়েছে।
শরিফ হোসেন বলেন, 'বাম হাতের কনিষ্ঠা আঙুলের নার্ভে সমস্যার কারণে আমি প্রিয়াংকাকে বছর খানেক আগে এই হাসপাতালের চিকিৎসক কেকে কৈরির কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি দেখে অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ৩ মাস আগে আবারও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে অপারেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই। অপারেশনের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডা. কেকে কৈরি ও তার ছেলে তন্বয় কৈরি অপারেশন করেন।'
তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘ সময় প্রিয়াংকাকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের না করায় আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরছে না কেন— বারবার জিজ্ঞাসা করলেও কোনো সদুত্তর পাইনি। অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগে সমস্যা হচ্ছিল, তারা এমন বলাবলি করছিল। এরপর ওর মরদেহ বের করে দেয়।'
শরিফ হোসেন বলেন, 'প্রিয়াংকা ছিল তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ। ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিকেএসপিতে পড়া অবস্থায় জুডোতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল প্রিয়াংকা। সর্বশেষ সে জুডো দলের খেলোয়ার হিসেবে বাংলাদেশ আনসার বিভাগে যুক্ত ছিল।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কাস্টমার ম্যানেজার মনিরুজ্জামান কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ কথা বলবে।
Comments