বরিশালে বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থানান্তর, স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহতের অভিযোগ
বরিশালের বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিক স্থানান্তরের কাজ চলছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এতে করে এলাকার স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, এই বিষয়ে সরকারি কোন অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের দলিলুর রহমান সিকদার কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য ৫ শতাংশ জমি দান করেন। সেই জমিতে ২ যুগ ধরে এই কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জমিদাতা তার বাড়ির সীমানার থেকে একটু দূরে ক্লিনিকটি স্থাপন করতে চাচ্ছিলেন। তা এখনও সরকারিভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়নি।'
গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়্যারম্যান অধ্যক্ষ শাজাহান তালুকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জমিদাতা তার বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষার জন্য ক্লিনিকটি অন্যত্র স্থাপনের অবেদন করেন। আমার ইউনিয়ন পরিষদের সভায় এটিকে অনুমোদন দিয়েছি। বর্তমানে এটি ওই সীমানার একশ গজের মধ্যে স্থাপনের কাজ চলছে।'
তিনি বলেন, 'যিনি জমি দিয়েছেন তিনি অন্যত্র এটি নির্মাণ করে দিচ্ছেন তাতে সমস্যা কোথায়?'
স্থানীয়রা জানান, শুধুমাত্র বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষার জন্য হাসপাতালের জায়গা পরিবর্তন হতে পারেনা। দীর্ঘ সময় ধরে হাসপাতাল নির্মাণাধীন থাকায় স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতালের পুরোনো ভবন ভাঙার কাজ চলছে, একই সঙ্গে একশ গজ দূরে একতলা ক্লিনিক এর নির্মাণের কাজ চলছে। কাজ সম্পূর্ণ করতে আরও অন্তত ২ মাস লাগবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। জমি দাতা পুরোনো জায়গায় 'মনি প্যালেস' নামে একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করেছেন যা শেষ পর্যায়ে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের জমিদাতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি দলিলউদ্দিন সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে হাসপাতাল পরিচালনার জন্য কিছুটা সমস্যা হওয়ায় পাশেই হাসপাতাল নির্মাণ করে দিচ্ছি। এতে সমস্যা কোথায়?;
তিনি বলেন, পারিবারিক বণ্টনের কারণে এই জায়গাটি রেখে পাশেই একই মাপে হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে।'
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বকুল চন্দ্র কবিরাজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি আমি জানি না, খোঁজ খবর নিচ্ছি।'
Comments