ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার সবগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেক্ট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। যেসব ভোটাররা এর আগে কখনো ইভিএমে ভোট দেননি তাদের অনেকেই কেন্দ্রে এসে শিখছেন ভোট দেওয়ার পদ্ধতি।
নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের একটি ভোটকক্ষের সামনে দেখা যায়, সেখানে টানিয়ে রাখা পোস্টার দেখে ইভিএমে ভোট দেওয়ার পদ্ধতি নিজেরাই বুঝে নিচ্ছেন কয়েকজন নারী।
নতুন করে বুঝে তারপর ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে কিছুটা সময় বেশি লাগছে বলে হাজী ফজলুল হক মডেল হাই স্কুল কেন্দ্র থেকে জানিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টার'র আলোকচিত্রী এমরান হোসেন।
তবে রেবতী মোহন পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ডেইলি স্টার'র সংবাদদাতা মামুনুর রশীদ জানান, সেখানে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেক ভোটারের কাছে ইভিএম একেবারে নতুন হলেও তাদের ভোট দিতে অতিরিক্ত সময় লাগছে না। আবার অনেকের লেগে যাচ্ছে বাড়তি সময়।
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিতে পেরে আনন্দিত ৯০ বছর বয়সী মঙ্গলী রানী সরকার। তিনি বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেওয়া সহজ। এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের পশ্চিম দেওভোগ শিশুবাগ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলী রানী ডেইলি স্টারকে বলেন, সিল দেওয়ার চেয়ে মেশিনে ভোট দেওয়া সহজ। তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। ভিড় কম থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়নি।
জহুরা খাতুনের বয়সও ৯০ বছর। নাতনী রহিমা খাতুন তাকে কেন্দ্রে নিয়ে এসেছেন। রহিমা বলেন, 'আমি নানিকে দেখিয়ে দিয়েছি, তিনি ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে নানি অবাক হয়েছেন, এত তাড়াতাড়ি হয়ে গেল! ইভিএম-এ ভোট বলেই নানিকে নিয়ে এসেছি।
এই কেন্দ্রে আরও ৪ জন নারী ভোটার সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। কেশবানু (৮৫) বলেন, 'ভেতরে পোলিং এজেন্টরা দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে ভোট দিতে হবে।'
Comments