আইভীর হ্যাট্রিক
টানা তৃতীয়বারের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। ১৯২টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণায় ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট পেয়েছেন আইভী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৬৬ ভোট।
আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ এলাকার (শহর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ) ১৯২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন রিটার্নিং অফিসার মাহফুজা আক্তার।
ভোটগ্রহণের পর ঢাকায় নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরোপেক্ষ হয়েছে। ইভিএমে ভোট দিতে কিছু সমস্যা হয়েছে, সেখানে নির্ধারিত সময় শেষ হবার পরও ভোট নেওয়া হয়েছে।
২০১১ সালে পুরোনো নারায়ণগঞ্জ ও কদমরসুল পৌরসভাকে এক করে সপ্তম সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরু হয় নারায়ণগঞ্জের।
প্রথম দফার ওই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৬৫ শতাংশ পেয়ে আওয়ামী লীগের 'বিদ্রোহী' প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নির্বাচিত হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমান পান ২৮ শতাংশ ভোট।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করে আইভীকেই। সেবার তিনি ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে পুনর্নির্বাচিত হন। বিএনপির পক্ষ থেকে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন নির্বাচনে অংশ নিয়ে পান ৯৬ হাজার ৪৪ ভোট।
গত ২ বারের মতো এবারও সারা দেশের আলোচনার কেন্দ্রে ছিল নারায়ণগঞ্জ সিটির এই নির্বাচন।
Comments