‘ভোটই যদি দিতে না পারি সরকার তাহলে কী ব্যবস্থা নিলো?’

ছবি: খালিদ বিন নজরুল/স্টার

কুমিল্লা শহরের ঠাকুরপাড়ায় মডার্ন প্রাইমারি স্কুল। স্কুলের গেটে নারী ভোটারদের ভিড়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যকে সেই ভিড়ে দেখা যায়। তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েকজন নারী বলছেন, 'ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না কেন?'

পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভোটারদের প্রথমে সেই স্থান থেকে সরে যেতে বলেন। কেউ আবার ইশারায় ভোটারদের লাইনে দাঁড়াতে বলছেন। কিন্তু, হট্টগোলের মধ্যে কেউই যেন কারো কথা শুনছেন না। লাইনে দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতিও দেখা যাচ্ছে না।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দৃশ্য দেখা যায়।

ভোট দিতে আসা এক নারী ভোটার ভ্যাপসা গরম ও দীর্ঘ জটলায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার মাথায় পানি দিতে দেখা যায়। পরে তাকে জটলা থেকে সরিয়ে ফ্যানের নিচে বসানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

এমন সময় এক নারী ভোটার নাম প্রকাশ না করে আক্ষেপ করে বলেন, 'কতক্ষণ এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা যায়।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক নারী ভোটার বলেন, 'লাইন ধরে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করলে সুবিধা হতো।'

প্রবীণ এক নারী ভোট দিতে এসে বিরক্তি প্রকাশ করে প্রশ্ন করেন, 'কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারি, কও তো?'

ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা হাবিবা সুলতানা সকাল পৌনে ১১টার দিকে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি। ভোটই যদি দিতে না পারি তাহলে সরকার কী ব্যবস্থা নিলো?'

প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মফিজুল হক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। এখানে ২টি কেন্দ্র। ৫ হাজার ভোটার। এ জন্য মানুষ বেশি।'

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালে বৃষ্টি থামার পর এক সঙ্গে অনেক ভোটার কেন্দ্রটির সামনে জড়ো হন। সেখানে দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। এ সময় তা জটলা থেকে বিশৃঙ্খলায় পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়েই চলে যান।

কেউ কেউ অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না পারায় তারা চলে যাচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

US-China tariff war punishes Bangladesh

Bangladesh is one of those nations that face pressure from Washington to decouple their manufacturing industries from Chinese suppliers, according to officials familiar with trade negotiations.

11h ago