ধুলো জল
অন্তরাল থেকে এসে ভোরের জলের মতো
পবিত্র করেছ আমাকে। শিশিরবিন্দু দিয়েছিল
কিছু। কিছুটা হয়তো তোমার অশ্রু ছিলো যোগ
বিয়োগের কালে যৌথ জলে, আমার পুণ্যস্নান
তোমার কোঁচার ফুলে হয়েছিলো, পূর্ণ আবহন
সুমন্ত আসবে দুপুরে, আজকাল সুমন্ত দুপুরে আসে।
ভাত নিয়ে বসে থাকে, আমার ভায়ের ছেলে
মানুষের আত্মায় কিভাবে গোলাপ ফোটে দ্যাখো
তুমি ও সুমন্ত, আড়ালে বৌদির মনের বিকাশ
আমাকে নিত্য ছুঁয়ে গেলে আমি বুঝি, কেউ কেউ
নিত্যদিন দেবার জন্যে আড়াল থেকে নিয়োজিত আছে।
তুমি শিশিরের মতো সকালের পর চলে গেলে
পথের ধুলোই পা ভিজাতে নামি, জল ও ধুলো
আদিকাল থেকেই পবিত্র চিন্তার ধারণ করে
পথের ধূলি থেকে সামান্য কিছু নিয়ে কপালে মাখি
তোমার সাথে মাখামাখি হলে, জলের প্রয়োজন হয়
শিশির ও ধুলোর মাঝে এ পা লুটালে
আমি বুঝি , সৃষ্টির মূলে আমি ঠিক দু পা রেখেছি।
Comments