কাহলিল জিবরানের সাহিত্য ও ভালোবাসার পৃথিবী
কাহলিল জিবরান তার শিল্প ও সাহিত্যে সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি শিল্পরীতি এবং ধারা তৈরি করেছিলেন তাতে সন্দেহ নেই। বিশেষ করে গদ্য ও কবিতা দুটো এক সঙ্গে মিশিয়ে ভাষাকে ভিন্নতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। জিবরান নিজে একজন চিত্রশিল্পী এবং মরমি ধারার কবি হওয়ার কারণে তার লেখালেখিতেও সেই চিন্তার ছাপ উপস্থাপিত হয়েছিল।
যে কারণে তার কবিতা পড়লে মনে হয় যেন একটি শিল্প বা বইয়ের পাতায় নিশ্চুপ কোন সুবাতাস বইছে। মানুষের বাস্তব জগতের হাহাকারকে কল্পনার রং তুলি দিয়ে এক অসাধারণ চিত্রপট তৈরি করে দিতে জিবরান ছিলেন সিদ্ধহস্ত। কখনো কখনো তার লেখকসত্তাকে তিনি কন্ঠে ধারণ করেছিলেন, কখনো সেই কন্ঠে শোনা যেত সুফিবাদের প্রেমের ঝংকার। কখনো সেই প্রেমের সংগীতে ধরা পরে সৃষ্টি এবং স্রষ্ঠার বৈচিত্র্যময় খেলা! কবিতার রং দিয়ে তখন তিনি গদ্যেকে পরিবেশন করেছেন পাঠকের তৃষ্ণার্ত পেয়ালায়।
বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি আরবি সাহিত্যে রোমান্টিকতার যে জোয়ার তৈরি হয়েছিল কাহলিল জিবরান ছিলেন সেই জোয়ার তৈরি অন্যতম শব্দ সৈনিক। তিনি পড়াশোনা করেছেন বৈরুত, আমেরিকা এবং প্যারিসে। জীবনের প্রথম দিকে চিত্রশিল্পী হিসেবে নাম করলেও তার আত্মায় ছিল কবিতা। লেখায় ধরা পড়ে মানুষের আত্মায় বিচ্ছিন্নতাবোধ, ভাঙ্গন, এবং কদর্য রূপ। বিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার জনপ্রিয় কবি এবং লেখক হিসেবে তার নাম সবসময় উচ্চারিত। সাহিত্যের পাশাপাশি তার আঁকা ছবিতেও ফুটে উঠে বিক্ষুব্ধ দুনিয়ার প্রতীকীবাদীর ছায়া। জিবরানের সৃষ্টিতে পাওয়া যায় শিল্পের সৌন্দর্য, সাহিত্যের নিগূঢ়তম নির্যাস। তাঁর লেখায় ফুটে উঠে মানুষের আত্মার শক্তি, মনের অপার সৌন্দর্য আর পার্থিব জগতের অদেখা ভুবনের চমকিত হাতছানি!
সাহিত্য সমালোচকদের মতে কাহলিল জিবরানের শিল্প-সাহিত্য মূলত পশ্চিম এবং পূর্ব এই দুই দর্শনের ফসল। আরব সংস্কৃতির নির্জাস রয়েছে তার কাব্যে ও সাহিত্যে। তিনি যেন তার গোটা জীবন সেই অজানা আর অচেনা দর্শনকেই খুঁজে ফিরেছেন। জাগতিক পরিচয়ে তিনি আমেরিকান বটে কিন্তু তাঁর অন্তরাত্মায় প্রতিনিয়ত বয়ে চলেছে আরবের দুরন্ত নদী। সেই নদীর জল পান করে কাহলিল জিবরান নতুন আর অপরূপ সাহিত্য ধারা নির্মাণে নিবেদিত এক প্রাণ। তিনি তার শিল্প মাধ্যম দিয়ে মানবাত্মার আধ্যাত্মিক জগতের ডাক দিয়েছেন। সেই জগতের ভাষায় ফুটে উঠে পূর্বাকাশের উদীয়মান সূর্যের আলোর ছটা আবার পাশাপাশি পশ্চিমাকাশের নরম কুসুম রঙা জীবনের আহবান।
জিবরানের ভাষায়, 'আমি একটি গাছ লাগাবো এবং সেই গাছের ফল ছয়শত বছর আগেই তুলে নিব।' তার নতুন ভাষায় আমরা পরিচিত হই ভালোবাসার অদৃশ্য সূতায় বাঁধা বস্তুবাদ এবং সুফিবাদ, ইসলাম এবং খৃষ্টান ধর্মের আধ্যাত্মিক নির্যাস, পূর্ব এবং পশ্চিমের বিশ্বাসকে এক সূতায় গেঁথে তিনি পরিবেশন করেছেন তাঁর নিজস্ব শিল্পিত ভাষায়।
জিবরানের 'দি প্রফেট' প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিল্প সাহিত্য বোদ্ধাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়। আমেরিকার 'পোয়েট্রি', 'দি বুকম্যান', এবং 'শিকাগো ইভিনিং পোস্ট' সহ সব বিখ্যাত শিল্প-সাহিত্যের পত্রিকায় 'প্রফেট' এর উপর আলোচনার ঝড় উঠে। পাশাপাশি পাঠকদের চাহিদাও ছিল দেখার মত। প্রথম সংস্করণ তের হাজার কপি বিক্রি হয়ে যায়। পরবর্তীতে ১৯৪৪ সালে প্রফেট বিক্রি হয় ষাট হাজার কপি এবং ১৯৫৭ সালে বিক্রি হয় এক লক্ষ কপি। 'দি প্রফেট' জিবরানকে আমেরিকার বেস্ট সেলার লেখকদের আসনে বসিয়ে দেয়। আমেরিকার সাহিত্যের ইতিহাসে জিবরান যোগ করেন নতুন এক ইতিহাস! গ্রন্থটি পৃথিবীর ১০০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এই গ্রন্থটি কাহলিল জিবরানের লেখকসত্তা তৈরিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিল।
'দি প্রোফেট' এবং 'মেডম্যান' দুটো গ্রন্থেই প্রোথিত হয়েছে সূফিজমের নিগুর রহস্য। সৃষ্টিপ্রেম, নিবেদিত প্রেম এবং সৃষ্টি রহস্য তখন মানবাত্মাকে উন্মোচিত করে। নতুন কিছু পাওয়ার জন্যে মানুষ তখন ক্ষুধার্ত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হওয়ার পথে তখন জিবরান লিখেন, 'গত তিন বছর ধরে মানুষগুলো ভীষণ ভাবে পরিবর্তন হয়ে গেছে। তারা এখন সুন্দরের জন্যে ক্ষুধার্ত, সত্যের জন্যে ক্ষুধার্ত।' সন্দেহ নেই সেই মোক্ষম সময়ে 'দি প্রফেট' এর আবর্তন মানুষের আত্মাকে বিপুলভাবে আন্দোলিত করেছিল।
'দি প্রফেট' গ্রন্থে জিবরান একজন প্রফেটের কথা বলেন যিনি ভিনদেশি কোন একটি দেশে বসবাস করেন। সেই দেশে তিনি ১২ বছর সময় কাটান এবং পরবর্তীতে আবার নিজ দেশে আসার চিন্তা করেন। কিন্তু সেই যাত্রাপথে তিনি কিছু মানুষের সঙ্গে মিলিত হন। তিনি সেই মানুষদের জীবনের গোপন রহস্যগুলো সম্পর্কে জানান। মানুষের অন্তরে উৎসারিত নানা জিজ্ঞাসার উত্তর তিনি দেন। যেমন, 'তারপর ধনী লোকটি বললো, দান সম্পর্কে আমাদের কিছু বলুন।
এবং তিনি উত্তর দিলেন,
তুমি দান কর, তা অল্প যখন তুমি তা তোমার দখলকৃত জায়গা থেকে দাও।
যখন তুমি তোমার তোমাকেই দান করতে পারবে তখনই হবে সেটি সত্যিকারের দান'(দি প্রফেট)
এ সম্পর্কে লিখেছেন, 'আমি নিজের কাছে নিজেই আগন্তুক। আমি আমার কণ্ঠকে শুনতে পাই কিন্তু আমার কান সেই কণ্ঠকে চিনতে পারে না। আমি সম্ভবত আমার গোপন হাসিকে দেখতে পাই, সেই হাসি দেখে নিজেই ভয় পাই, এবং সে কারণে আমি আমার সব কিছু নিজেকে ভালোবাসে এবং আমার আত্মা আমার আত্মার কাছে এর ব্যখ্যা খোজে। কিন্তু আমি নিজের কাজে অপরিচিতই থেকেই যাই, গোপন থেকে যাই কুয়াশায় ঢাকা অদৃশ্য কোন বস্তুর মত, নি:শব্দ চুপচাপ।'
'দি প্রফেট' এর জনপ্রিয়তায় জিবরানকে আমেরিকার সাহিত্য পাড়ায় নতুনভাবে পরিচিতি এনে দেয়। একজন লেবানিজ আমেরিকান লেখক বসবাস করেন ম্যানহাটনের 'ওয়েস্ট টেনথ স্ট্রিটে' সে খবরটি একসময় ছড়িয়ে পরে পাঠক ভক্তদের মুখে মুখে। কিন্তু জিবরান তখন নিজেকে গোটাতে ব্যস্ত। তিনি নিউইয়র্ক থেকে চুপি চুপি চলে গেলেন বোস্টনে তার বোন মারিয়ানার বাড়িতে। সেখানেও তিনি দেখতে পেলেন লেখালেখির কোন পরিবেশ নেই। জিবরান চাইতেন সাধারণ এক সরল জীবন। যে জীবনের কোন আকাঙ্ক্ষা থাকবে না। যে জীবনে থাকবে আত্মার মুখোমুখি হয়ে কিছু আত্মিক লেনদেন। লেখালেখি ব্যহত হলে তিনি সুস্থ বোধ করেন না। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন ভালোবাসায়, আরাধনায়।
কাহলিল জিবরান ছিলেন সূফিভাব ধারায় নিমজ্জিত কবি এবং লেখক। বিশ্বাস করতেন মানুষের আত্মিক ভালোবাসায় আর সৃষ্টি বন্দনায়। বলতেন 'মানুষ যদি সহজ সরল আর বিবেকের সঙ্গে পথ চলতে পারে তাহলেই সেই মানুষটি তার ইস্পিত লক্ষ্যে পৌছতে পারবে।" তিনি বলেছেন, 'মানুষের আত্মা সাহায্যের জন্যে প্রতিনিয়ত কাঁদে; মানুষের হৃদয় প্রতিনিয়ত প্রকাশের জন্যে বিচ্ছুরিত হয়; কিন্তু আমরা যারা সেই ক্রন্দনকে খুঁজি না তাদের জন্যে এই কান্না শোনার কোন দরকার নেই।'
'দি প্রসেশান' বা 'আল মোয়াকিব' জিবরানের লম্বা এক আরবি কবিতা। ১৯১৯ সালে কবিতাটি প্রকাশিত হয়। কবিতার মূল কল্পচিত্রে স্থান পায় একটি বৃক্ষ যে সুশীতল শান্তির ছায়া দেয়, সুশীতল পরিবেশ আর ভালোবাসার কথা বলে। বৃক্ষের সঙ্গে রয়েছে জিবরানের আত্মার সম্পর্ক, প্রকৃতির সম্পর্ক এবং শিল্পীর সম্পর্ক। কবিতাটি আরবদের মাঝে জনপ্রিয়তা পায়। কারণ কবিতার শব্দে ধরা পরে শরণার্থীর জীবনের কান্না, ছন্নছাড়া গৃহহীনদের জীবনের আর্তি।
দেখা যায় ১৯১১ সালে ইটালি যখন তুরস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল তখন কাহলিল জিবরান কলম তুলে নিয়ে নিয়েছিলেন শান্তির পক্ষে, মানবতার পক্ষে, ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে। ঠিক একই সময় গান্ধী যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তখন কাহলিল জিবরান বোস্টনে গান্ধীর সমর্থনে আরব মানবতাবাদীদের একত্রিত করেছিলেন এবং নন ভায়োলেন্স আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। স্থানীয় আরব পত্রিকায় জ্বালাময়ি একটি প্রবন্ধ ছাপা হয়। তাতে বলেন, 'পশ্চিমের শক্তি আমাদের বন্ধু হতে পারে যদি তারা সেই বন্ধুত্ব বজায় রাখে। আবার পশ্চিমের শক্তি আমাদের শত্রু হতে পারে যদি তারা আমাদেরকে তারা দমিয়ে রাখতে চায়।'
সার্বিকভাবে বলা যায়, পশ্চিমের প্রতি বিদ্বেষ নয় বরং পশ্চিমের অনেক নীতির বিরুদ্ধে কাহলিল জিবরান ছিলেন ক্ষুব্ধ। তার ভাষায়, 'সাধারণ শিক্ষিত, ভদ্র নৈতিক মানুষগুলো এত হালকা যে তারা বাতাসে স্বর্গ আর নরকের মাঝামাঝি ঝুলে থাকে- কিন্তু তার সেখানকার পরিবেশ এত আরাম দায়ক যে সে তোমার দিকে তাকিয়ে সবসময় হাসতে থাকবে।' যখন তার উপর অত্যাচার নেমে আসে তখন সে ভাবে, ' জীবন হল বরফের মত শীতল আর ছাইয়ের মত ধূসর।'
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯১৮ সালে 'দি মেডম্যান' প্রকাশিত হয়। এটিই তার প্রথম ইংরেজিতে লেখা গ্রন্থ। স্বাভাবিকভাবেই এতে যুদ্ধের ভয়ঙ্কর চিত্র মেটাফরের উপর ভর করে ফুটে উঠেছে। জিবরান তার ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের এই 'মেডম্যান'দের ভালো করে চিনে রাখার পরামর্শ দেন। তার ভাষায় 'এই মেডম্যান'রা ধ্বংসাত্মক এবং বিপদজ্জন বস্তু।' ইংরেজিতে লেখার কারণে গ্রন্থটি রাতারাতি জনপ্রিয়তা পায়। এবং অনূদিত হয় ফরাসী, ইতালিয়ান এবং রুশ ভাষায় ।
কাহলিল জিবারনের জীবনকে গভীরভাবে অনুসরণ করলে দেখা যায় তিনি কখনো আমেরিকার দরবেশ পাড়ায় হন্যে হয়ে ঘুরছেন, কখনো সূফীবাদ নিয়ে মেতে উঠেছেন, কখনো ছবি আঁকায় মগ্ন চিত্রকর, কখনো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তার কলমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, কখনো প্রেমের পাখায় উড়তে উড়তে মরমি ভাষায় তিনি পাঠককে আচ্ছন্ন করে রেখেছেন। কিন্তু ব্যক্তি জীবনে কোথায় যেন তার মাঝে একটি আর্তনাদ ফুটে উঠে। কী সেই আর্তনাদ! সন্দেহ নেই কিছু একটা পাওয়ার জন্যে তার কাব্যে চঞ্চল হরিণীর মত সবসময় যেন ঘুরে বেড়ায়। না পাওয়ার বেদনায় কবি তখন প্রতি মুহূর্তেই রক্তাত্ব হন। যে যাত্রা শুরু হয়েছিল দক্ষিণ লেবাননের বিশারির গ্রাম থেকে সেই তৃষ্ণার্ত যাত্রাপথ যেন আর ফুরায় না!
কাহলিল জিবরান সেই মানুষকে নিত্য খুঁজে বেড়ান। নিত্যই নিজের কাছে নিজেই প্রশ্ন করেন, 'আমি কি আমাকে চিনতে পেরেছি?' তাঁর 'ব্রোকেন উইংস' গ্রন্থ থেকে একটি উদাহরণ টানা যেতে পারে। জন্মভুমির প্রতি তাঁর প্রেম যে কত গভীর এই কয়টা লাইনে এর কত সুন্দর প্রকাশ ঘটেছে! 'বসন্ত সর্বত্রই সুন্দর। কিন্তু লেবাননের বসন্ত আরো বেশি সুন্দর। মনে হয় যেন বসন্তের কনে অথবা মারমেডের মত কোন ছোট নদীর ধারে বসে আছে, সূর্যের কোমল রোদ শুকিয়ে নিচ্ছে তার কোমল ত্বকে।'
অবিচার, ধর্মান্ধতা এবং উগ্রতার ছিল কাহলিল জিবরানের চির শত্রু। এই তিনটি বিষয়ের বিরুদ্ধে তার কলম সবসময় ছিল সোচ্চার। তাঁর লেখার মুল শক্তি সুফিবাদ, মানবতাবাদ এবং মরমিবাদ। তাঁর প্রতিটি কাব্যে রয়েছে মানুষের মুক্তি, প্রেম আর ব্যক্তি স্বাধীনতা। 'পৃথিবী আমার দেশ' এই মন্ত্রে তিনি ছিলেন উজ্জীবিত। তাঁর 'দি টেমপেস্ট' গ্রন্থে এই বিষয়গুলো আরো সুস্পষ্ট ভাবে ধরা পরেছে। জিবরান মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তিতে বিশ্বাস করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন প্রতিটি মানুষের আত্মায় ঈশ্বর বসবাস করেন। জাগতিক চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে উঠতে হলে চাই আত্মার ঠিকানার খোঁজ পাওয়া। 'দি লাইফ অব লাভ' কাব্য গ্রন্থে জিবরান বলেছেন-
'জীবন এখানে ঘুমিয়ে নেই, সে জীবন্ত এবং সে পাহাড় আর উপত্যকা ভ্রমণ করে।
চলো সুদূর ভবিষ্যতের মাঠে সেখানে বসন্তের পায়ের চিহৃকে অনুসরণ করি।'
কাহলিল জিবরান তার তুলি আর কলম হাতে যে কথাটি বলতে চেয়েছেন তা হলো পৃথিবীর প্রতি, প্রকৃতির প্রতি মানুষের সহমর্মী অবস্থান। সুফিবাদে যে বিষয়টিকে বলা হয় 'রবুবিয়াত' অর্থাৎ সৃষ্টির পালনবাদ। রবুবিয়াত এর সুর হল পৃথিবীর সব কিছুই প্রেমময়, ভালোবাসার। আর সৃষ্টিকে ভালোবাসা মানেই এর স্রষ্ঠাকে ভালোবাসা।
Comments