চীনের হাইপারসনিক পরীক্ষা ‘উদ্বেগজনক’: শীর্ষ মার্কিন জেনারেল
চীনের সাম্প্রতিক হাইপারসনিক অস্ত্র পরীক্ষার ঘটনাকে 'খুবই উদ্বেগজনক' বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি।
মার্ক মিলি এ ঘটনাকে ১৯৫৭ সালে মহাশূন্যে সোভিয়েত রাশিয়ার স্পুৎনিক উপগ্রহ পাঠানোর কাছাকাছি বলে উল্লেখ করেন।
ব্লুমবার্গ টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই পরীক্ষা 'প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ' এবং এ ঘটনা চীনের সামরিক সক্ষমতার একটি ছোট উদাহরণমাত্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পেন্টাগনের পক্ষ থেকে চীনের অস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক মন্তব্য। এর আগে তাদের কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জেনারেল মিলি আরও বলেন, 'চীনের সামরিক সক্ষমতা এর চেয়েও অনেক বেশি। তারা মহাশূন্য, সাইবার জগত এবং ভূমি, নৌ ও আকাশের মত প্রথাগত জায়গাগুলোতে দ্রুত সম্প্রসারণ করছে।'
'আমাদের দৃষ্টিতে চীন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে উন্নতি করছে,' যোগ করেন তিনি।
এ মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র ফাইনান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চীন এমন একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।
প্রতিবেদনটি সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে মুখপাত্র ঝাও লিহিয়ান বলেন, আগস্টে একটি 'মহাকাশ যানের পরীক্ষা করা হয়েছিল, ক্ষেপণাস্ত্র নয়।'
ঝাও আরও বলেন, 'এটি একটি নিয়মিত পরীক্ষা ছিল, যার মাধ্যমে আমরা নবায়নযোগ্য প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করেছি। এটি মহাকাশযান পরিচালনার খরচ কমাতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে এবং মহাশূন্য ভ্রমণে সাশ্রয়ী ও সুবিধাজনক উপায় বের করে দিতে পারে।'
বুধবারে পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কার্বি একটি গণমাধ্যম ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
ব্রিফিংয়ে জন কার্বি বলেন, 'নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে চীনের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে আমাদের গভীর উদ্বেগ রয়েছে, যে বিষয়গুলোর প্রভাব পড়ছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের ঘটনাপ্রবাহের ওপর।'
Comments