সুইডেন-ফিনল্যান্ড নিয়ে তুরস্কের আপত্তি যৌক্তিক: ন্যাটো

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ (বামে) ও ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোয় সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের যোগ দেওয়ার বিষয়ে তুরস্কের আপত্তিকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটির মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।

গতকাল রোববার সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদন মতে, ন্যাটো মহাসচিব ফিনল্যান্ডে সফরকালে এ মন্তব্য করেন। তিনি গতকাল দেশটির প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'তুরস্কের উদ্বেগ যৌক্তিক। এই উদ্বেগ সন্ত্রাসবাদকে ঘিরে ও অস্ত্র রপ্তানি সংক্রান্ত।'

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেশী ইউক্রেনে পরাশক্তি রাশিয়ার আগ্রাসনের পর গত মাসে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ৩০ সদস্যের ন্যাটোয় যোগ দিতে আবেদন করে। কিন্তু, এতে আপত্তি জানায় জোটের অন্যতম শীর্ষ সদস্য তুরস্ক।

আঙ্কারার অভিযোগ উত্তর ইউরোপের দেশ ২টি তুরস্কবিরোধী কুর্দি সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে। তুরস্কের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃষ্টিতে এগুলো সন্ত্রাসী সংগঠন।

ন্যাটো-প্রধান স্টলটেনবার্গ জানান, তুরস্কের অবস্থান ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে কৌশলগত কৃষ্ণ সাগরের পাশে হওয়ায় দেশটি ইউক্রেনকে সমর্থন জুগিয়েছে।

তিনি বলেন, 'আমাদের মনে রাখা উচিত, ন্যাটোর সদস্যদের মধ্যে একমাত্র তুরস্ক সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে।'

স্টলটেনবার্গ ও নিনিস্তো জানিয়েছেন, তুরস্কের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তবে আলোচনায় অগ্রগতি নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেননি।

চলতি জুনের শেষে মাদ্রিদে ন্যাটোর বৈঠক হবে। তবে সেই বৈঠকে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ গ্রহণের বিষয়ে স্টলটেনবার্গ বলেন, এটা কোনো 'চূড়ান্ত তারিখ' নয়।

সুইডেন ও ফিনল্যান্ড বহু বছর ধরে কোনো সামরিক জোটে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর দেশ ২টি ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে।

আঙ্কারার দাবির মধ্যে রয়েছে—হেলসিঙ্কি ও স্টকহোমকে তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে এবং এরদোয়ান সরকারের বিরোধিতাকারী কুর্দি সংগঠনগুলোর সদস্যদের সেসব দেশ থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

ন্যাটোর-প্রধান গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সমস্যাটির সমাধানের চেষ্টা করছেন। তিনি আজ সোমবার সুইডেন যাবেন। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাগডালিনা অ্যান্ডারসনের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন।

Comments

The Daily Star  | English

What if the US election ends in a Trump-Harris tie?

While not highly likely, such an outcome remains possible, tormenting Americans already perched painfully on the edge of their seats ahead of the November 5 election

3h ago