স্কুলের বাইরে ভিড়

স্কুলের বাইরে অভিভাবকদের ভিড়। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাজধানীর স্কুলগুলোতে সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করানো হয়েছে। তবে, স্কুলের বাইরে ছিল অভিভাবকদের ভিড়। এসময় সেখানে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ইব্রাহিমপুর ও শেওড়াপাড়া শাখা এবং মিরপুরের শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কিছু স্কুল ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকালে শিক্ষার্থীদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করানো হয়েছে। কিন্তু, স্কুলের বাইরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই অভিভাবকরা ভিড় জমান। তাদের কারও মুখে মাস্ক ছিল, কারও মুখে ছিল না।

অভিভাবকদের অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানেননি। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

এর আগে, করোনা মহামারির কারণে ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সকালে সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞানবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর মতে, বাংলাদেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী মহামারির এ সময় শ্রেণীকক্ষের বাইরে ছিল।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গতকাল বলেছেন, 'বিদ্যালয় খোলার পর সংক্রমণ বাড়লে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে।'

করোনা সংক্রমণ কমে আসায় গত ৫ সেপ্টেম্বর সরকার পর্যায়ক্রমে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস চালুর ঘোষণা দেয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্কুল ও কলেজ খোলার পর উচ্চ মাধ্যমিক ২০২১ ও ২০২২ সালের মাধ্যমিক এবং এ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার (পিইসিই) শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে। প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে এক দিন করে সশরীরে ক্লাস করবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে স্বাস্থ্য নির্দেশনার সাধারণ পরিচালন পদ্ধতি (এসওপি) পাঠিয়েছে। স্কুলে ক্লাস শুরু হওয়ার পর নির্দেশনাগুলো মেনে চলতে হবে।

এই নির্দেশনায় প্রধান শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, সব শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীদের সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকা এবং শ্রেণীকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া, কোনো শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা কর্মীর করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

এ ছাড়া, শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে বা আইসোলেশনে থাকতে পারবে এবং তাদেরকে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হবে না।

নির্দেশনায় শিক্ষকদের অনুরোধ করা হয়েছে, প্রতিটি ক্লাসের শুরুতে একটি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য। কোনো ছাত্র যেন ক্লাসের মাঝখানে বের হয়ে না যায়, সেটা নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

Comments

The Daily Star  | English

Fire service & civil defence: High-risk job, low pay

Despite risking their lives constantly in the line of duty, firefighters are deprived of the pay enjoyed by employees of other departments, an analysis of their organograms shows.

8h ago