শিক্ষক হত্যা ও কলেজ অধ্যক্ষকে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

শিক্ষক হত্যা ও কলেজ অধ্যক্ষকে অবমাননার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

সাভারের আশুলিয়ায় শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে হত্যা ও নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষকে পুলিশের সামনে জুতার মালা পড়িয়ে নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে মৌলভীবাজার ও বরিশালে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করে মৌলভীবাজারের প্রগতিশীল কয়েকটি সংগঠন।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সহসভাপতি জহর লাল দত্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, সিপিবি জেলা সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি মাসুক মিয়া, শিক্ষক ফোরামের নেতা দিলীপ দেবনাথ, সংস্কৃতিকর্মী মীর ইউসুফ আলী, নির্বেন্দু নির্ধুত তপু, লক্ষণ অধিকারী, ছাত্রনেতা বিশ্বজিৎ নন্দী, প্রশান্ত কৈরী, রাজীব সুত্রধর।

বক্তারা বলেন, ছাত্রের হাতে শিক্ষক হত্যার ঘটনা আমাদের সমাজের অবক্ষয়কে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এই ঘটনার আড়ালে কারো মদদ আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া নড়াইলে পুলিশের সামনে শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনায় দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন

নড়াইলে কলেজ অধ্যক্ষকে ধর্মীয় অবমাননার মিথ্যা অভিযোগ এনে নির্যাতনের প্রতিবাদে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়েছে।

বরিশালে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

মঙ্গলবার দুপুরে অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে প্রগতিশীল নাগরিক সমাজ, বরিশালের উদ্যোগে নড়াইল মির্জাপুরের ইউনাইটেড কলেজের অধ্যক্ষকে নির্যাতনসহ সারা দেশে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শিক্ষক লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী, সদস্য সন্তু মিত্র,  সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিএম কলেজ সংগঠক বিজন সিকদারসহ অনেকে।

বক্তারা বলেন, ধারাবাহিকভাবে হিন্দু শিক্ষকদের ওপর এভাবে আক্রমণ ও হয়রানি দেশের হিন্দু জনগোষ্ঠি ও শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে বিজ্ঞানমুখী শিক্ষা তুলে ফেলে মৌলবাদীদের কথামতো মৌলবাদকে সম্পৃক্ত করাই আজকের এই অবস্থার অন্যতম কারণ। সবক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িকতার লালন ও আগ্রাসন রুখতে না পারলে সমাজে বিষবাস্পের মতো ছড়িয়ে পরবে হিংসা ও সাম্প্রদায়িক ঘৃণা।

সভায় বক্তারা বলেন পুলিশের উপস্থিতিতে শিক্ষককে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে দেশে কোন আইনের শাসন নেই।

বক্তারা বলেন যাদের উপর ছিল আইন বাস্তবায়নের ভার, তাদের উপস্থিতিতেই শিক্ষককে নির্যাতন করা হয়েছে যা শুধু নিন্দাজনকই নয়, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত।

Comments

The Daily Star  | English

Renewable ambitions still mired in uncertainty

Although the Awami League government made ambitious commitments to renewable energy before being ousted by a mass uprising in August last year, meeting those lofty goals remains a distant dream for the country.

11h ago