বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই: কৃষিমন্ত্রী

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এদেশে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা কোনদিন এতো সহজে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এ দেশের মানুষ ভালো-মন্দ সবই বুঝে।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'আজকে যারা হুমকি দিচ্ছে। হুমকিতো আপনারা আমাদের জীবনের ওপর দিয়েছেন। বিএনপি ১৫০ জন মানুষকে অগ্নিদগ্ধ করে মেরেছে। শত শত মানুষকে বাস-ট্রাক-রিকশার মধ্যে আগুন দিয়ে দগ্ধ করেছে। এত নির্দয় নিষ্ঠুরতা এ দেশের মানুষ একাত্তরে দেখেছিল, তারপর আবার দেখেছে ১৪-১৫ সালে।'

বিএনপির নেতাদের বক্তব্যকে ইঙ্গিত করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'কাজেই হুমকি দিয়ে ক্ষমতায় আসা যাবে না। জাতির অর্জনকে হুমকি দিয়ে ধ্বংস করা যাবে না। হুমকিতে বঙ্গবন্ধুও ভয় পাননি। আওয়ামী লীগ পর্দার অন্তরালে ষড়যন্ত্র করে কোনো দিন ক্ষমতায় আসেনি। আমাদের ভিত্তি জনগণ। জনগণ যদি আমাদের প্রত্যাখ্যান করে আমরা চলে যাব। এটা নিয়ে আমাদের কোন দুঃখ নেই।' 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'খালেদা জিয়ার অবর্তমানে যিনি বিএনপি চালাবেন তিনি লন্ডনে ভোগবিলাসী জীবনযাপন করছেন। রিমোট কন্ট্রোলে পার্টি চালাচ্ছেন। কাজেই ওখান থেকে রিমোট কন্ট্রোলে হুমকি দিয়ে, আর সেই হুমকির ওপর আওয়াজ তুলে গয়েশ্বর রায়রা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। ক্ষমতায় আসতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে।' 

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, 'আমরাতো বলেছি আগামী নির্বাচন আমরা সুষ্ঠু করবো, নিরপেক্ষ করব। গত ৮ মে বাংলাদেশ আ. লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট আমাদের বলেছেন আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব। দরিদ্রতা কমিয়ে আনব। আজকে বাংলাদেশ দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শাকসবজি, ডালের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Awami League govt guilty of gross human rights violations: UN

Coordinated, calculated acts of violence, repression tantamount to crimes against humanity

1h ago