নারায়ণগঞ্জ গডফাদারের নগরী: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব

চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: সনদ সাহা

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে অনেক জ্ঞানী মানুষ, সৃষ্টিশীল মানুষ, সাহিত্যিক থাকেন এবং ছিলেন। এই নারায়ণগঞ্জ কারখানার, শ্রমিকের ও উৎপাদনের নগরী। কিন্তু, এই নারায়ণগঞ্জ কারখানার, উৎপাদন বা উন্নয়নের নগরী হিসেবে পরিচিতি পায় না- পায় গডফাদারের নগরী হিসেবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

তিনি বলেন, 'তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি, নারায়ণগঞ্জে একসময় অবশ্যই গডফাদার সাম্রাজ্যের পতন ঘটবে। নারায়ণগঞ্জে একসময় সন্ত্রাসের বিষ বাষ্প ভেদ করে শান্তির ফুল ফুটবেই ফুটবে। নারায়ণগঞ্জে একদিন অবশ্যই শহীদ জিয়ার লাখো সৈনিকেরা এই নগরীকে শান্তির নগরীতে পরিণত করবে।'

রোববার বিকেল ৫টায় শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে দেশব্যাপী বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে সরকারের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে এসব বলেন তিনি।

হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, 'বিদ্যুৎ মাঝে মধ্যে আসে। কিন্তু এমনতো হওয়ার কথা ছিল না। একসময় বলেছে বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করবে। এখন কই বিদ্যুৎ? উনি যাবেন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনে, তারপরই শতভাগ বিদ্যুৎ। দেশে কোনো বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না। লোডশেডিং যাবে যাদুঘরে। উনি গেলেন, উদ্বোধন করলেন, সবই হলো। লোডশেডিং গেল যাদুঘরে। তাহলে এখন কী আছে ভাই? যাদুঘরের কেয়ারটেকার সম্ভবত বিএনপি করে। ওনার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে লোডশেডিং বাবু দিনে ৩-৪ বার করে বের হচ্ছে আর দেখাচ্ছে। কুইক রেন্টাল করেছে। কুই রেন্টাল হচ্ছে কুইক চুরি। বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটানোর জন্য উনি তাড়াহুড়া করে কুই রেন্টাল দিলেন। কুইক রেন্টালের কাজ কী, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানো। কিন্তু, এজন্য কড়া মূল্য দিতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, ওখান থেকে বিদ্যুৎ না কিনলেও সরকারকে দাম দিতে হবে কেপাসেটি চার্জ হিসেবে। মামার বাড়ির আবদার।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা বিরোধিতা করেছিলাম কিন্তু আমাদের কথা শুনেননি। এজন্য আবার ইনডেমনিটি করেছেন। অর্থাৎ বাংলাদেশে বিদ্যুৎ নিয়ে চুরি বা দুর্নীতি হলে কেউ মামলা করতে পারবে না। উনি জীবনের একটা বড় সময় ইনডেমনিটির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন। এখন নিজেই ইনডেমনিটি করে চোরদের আড়াল করছেন। তাদের নামে কোনো মামলা করা যাবে না। ৩৬৫ দিনে এক বছর। তার মধ্যে ২২০ দিন তাদের বসিয়ে বসিয়ে টাকা দিতে হয়েছে। এই টাকা কী শেখ হাসিনার ব্যাগ থেকে এসেছে? এই টাকা জনগণের টাকা। কারা নিয়ে যাচ্ছে? কুইক রেন্টাল এরা কারা? এরা হচ্ছে নামে বেনামে এরাই। ওদের কে ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, কিছু বলা যাবে না। ওরা টাকা প্রচার করে নিয়ে যাচ্ছে। সুইচ ব্যাংকে বাংলাদেশের টাকার জায়গা হচ্ছে না।'

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মামুন মাহমুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

10h ago