রাজধানীতে জমে উঠেছে গরুর হাট, লোকসান নিয়ে দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা
আর মাত্র তিন দিন পরই ঈদুল আজহা। রাজধানীতে এরই মধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাট।
আজ শনিবার ঢাকার গাবতলী, কচুক্ষেত, মোহাম্মদপুরের পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই সেখানে গরু বেচাকেনা, জনসমাগম চলছে। বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা সেখানে গরু দেখতে ভিড় করেছেন। বেশিরভাগ গরু ব্যবসায়ীর মুখে মাস্ক নেই, ক্রেতাদের মধ্যেও অনেকেই মাস্ক ছাড়া ঘুরছেন।
তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে রূপনগর ইস্টার্ন হাউজিং হাটে। এখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সবাইকে সচেতন করছেন। হাটে হাত ধোয়া, তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রায় সবাইকেই মাস্ক পরতে দেখা গেছে।
আজ শনিবার সকালে ঢাকার কচুক্ষেত পশুর হাটে গিয়ে দেখা গেছে, নির্দেশনা অমান্য করে রাস্তার ওপরেও গরু বেচাকেনা চলছে।
আশরাফুল ইসলাম (৪৩) নামে এক গরু ব্যবসায়ী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ বছর ৪২টা গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। গত ১৪ জুলাই গরুগুলো তিনি হাটে তোলেন। দুদিনে তার মাত্র দুটি গরু বিক্রি হয়েছে।
সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর আমি ব্যবসা করতে পারিনি। এই বছর ৪২টা গরু কেনা, যাতায়াত, খাবার- এসবের পেছনে ৪৫ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আমাকে অনেক টাকা ঋণও করতে হয়েছে।’
গত দুদিনে গরু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা থাকলেও আজ সকাল থেকেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। বলেন, ‘আজ সকালে দেখি হাটে কয়েক হাজার গরু। রাস্তায়ও গরু বেচাকেনা চলছে। কালকে যে গরুর জন্য ক্রেতারা ৫০ হাজার টাকা দাম বলেছিলেন আজকে একই গরুর জন্য ১০-১৫ হাজার টাকা কম দাম চাচ্ছেন। হাটে অনেক গরু থাকায় ক্রেতারা অনেক বেশি দরদাম করছেন। এই বছরও লোকসানের আশঙ্কা করছি।’
কচুক্ষেত হাটে ছোট ও মাঝারি ধরনের গরুর চাহিদা বেশি দেখা গেছে। ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যেই গরু কিনতে আগ্রহী বেশিরভাগ ক্রেতা। বড় গরুর দাম বেশি হওয়ায় সেদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
তবে তুলনামূলকভাবে মাংসের ওজন বিবেচনায় বড় গরুর দাম ছোট গরুর চেয়ে কম। কয়েকজন ক্রেতা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, এ বছর গরুর দাম গতবারের চেয়ে বেশি।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ক্রেতাদের যে পরিমাণ ভিড় দেখা যাচ্ছে সে তুলনায় এখন পর্যন্ত বিক্রি কম। তবে ঈদের এক-দুদিন আগে বিক্রি বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
Comments