যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা: সৌহার্দ্যের মধ্য দিয়ে সমাধান চায় র্যাব
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব ও র্যাবের সাবেক-বর্তমান ৭ শীর্ষ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রায় ৩ সপ্তাহ পর বাহিনীটি চাইছে, সরকার এখন একটি সমাধান খুঁজুক। ২০১৯ সাল থেকে স্থগিত থাকা যুক্তরাষ্ট্রে র্যাব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার একটি প্রক্রিয়াও চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধের পর র্যাব কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে র্যাবের একটি সহযোগিতামূলক সম্পর্ক রয়েছে এবং র্যাব সেই সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।'
তিনি বলেন, 'র্যাব কর্মকর্তারা ২০১১ সাল থেকে ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের আওতায় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ৫টি ব্যাচ পর্যায়ক্রমে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। প্রশিক্ষণের বিষয় ছিল মানবাধিকার, মর্যাদা, অপরাধ তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ধরন।'
প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত সেল গঠন করে এবং সেলটি এ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে ৫০০ সদস্যের শাস্তির সুপারিশ করেছে, বলে জানান খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, 'করোনার কারণে প্রশিক্ষণটি স্থগিত আছে। তবে প্রোগ্রামটি আবার চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ২ দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ভুল বোঝাবুঝির সমাধান হবে।'
'এ ছাড়া, র্যাব ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেল ৪০৬ হেলিকপ্টার কিনেছে এবং হেলিকপ্টারের বিষয়ে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ নিতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৪ ধাপে প্রায় ১৪ জন কর্মকর্তা দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন', যোগ করেন মঈন।
সন্ত্রাসবাদ ও মাদক অভিযানে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সরঞ্জাম, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ এবং মাদক শনাক্তকরণ সরঞ্জামও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা হয়েছে জানিয়ে মঈন বলেন, এই সময়ে ৮ ধাপে ২২ জনের মতো র্যাব সদস্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণ নেন।
Comments