মাত্র ২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বন্দরনগরীর পথঘাট
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে যারা অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিচু এলাকাগুলো হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে।
অফিসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে অনেককে রাস্তার পাশের ড্রেন থেকে উপচে পড়া নোংরা পানির মধ্যে দিয়ে হেঁটে যেতে হয়েছে।
শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমেদ অফিসের জন্য বের হয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছিলেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বছর ঈদের দিন জলাবদ্ধতায় আমরা দুর্ভোগে পড়েছিলাম। এ বছর ঈদের তৃতীয় দিনে এসে এই অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে।'
'অফিসের জন্য বের হয়ে রিকশা বা অন্য যানবাহন পাইনি। তাই নোংরা পানির মধ্য দিয়ে হাঁটতে হচ্ছে,' বলেন তিনি।
সরেজমিনে নগরীর মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, কাপাসগোলা, চকবাজার, ডিসি রোড, পশ্চিম বাকালিয়ার কেবি আমান আলী রোড, চান্দগাঁও, হালিশহর, আগ্রাবাদসহ অনেক এলাকায় গিয়ে দেখা যায় রাস্তাঘাটে হাঁটু পানি।
রাহাত্তারপুল এলাকার বাসিন্দা মিনহাজ উদ্দিনকে সকাল ১১টার দিকে উজির আলী শাহ বাইলেনে বাড়ি ফেরার সময় হাঁটুর ওপর ট্রাউজার ভাঁজ করে রাস্তা পার হতে হয়।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ড্রেন পরিষ্কার না করায় সব নোংরা পানি উপচে রাস্তায় চলে এসেছে।'
তিনি বলেন, 'প্রতি বছর বর্ষায় জলাবদ্ধতার কারণে আমরা বিপদে পড়ি। কিন্তু এটি মোকাবিলায় চসিক কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয় না।'
একই কথা বলেন পশ্চিম বাকালিয়া ডিসি রোডের বাসিন্দা জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, 'নোংরা পানি শুধু সড়কেই জমে থাকে না। আমাদের বাড়িতেও চলে আসে।'
'জলাবদ্ধতা এখানকার কয়েক দশকের পুরোনো সমস্যা। কিন্তু এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো সঠিক পরিকল্পনা নেয়নি।'
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে বারবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শেখ ফরিদ আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২৩ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
Comments