মহাসড়কে ৪ লেনের কাজ চলমান, উত্তরের ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে

উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কে ৪ লেনের কাজ চলমান রয়েছে। ছবি: স্টার

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উত্তরবঙ্গের মহাসড়কের যাত্রা নিয়ে ততই দুশ্চিন্তা বাড়ছে। মহাসড়কে ৪ লেনের কাজ চলমান থাকায় উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে যানবাহনের চাপ বাড়লে দুর্ভোগের আশঙ্কা রয়েছে।

ঈদযাত্রার দুর্ভোগ কমাতে নবনির্মিত নলকা সেতুর দ্বিতীয় লেনটি খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক বিভাগ। ঈদুল ফিতরের আগে সেতুর এক লেন খুলে দেওয়ার পর দুর্ভোগ কিছুটা কমে। ঈদুল আজহায় মহাসড়কে ব্যস্ততা বাড়ার আগেই আগামীকাল সোমবার সেতুর অপর লেনটি খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

সিরাজগঞ্জ জেলা সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর সংযোগ সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।'

সোমবার সেতুর অপর লেনটি খুলে দেওয়ার পর মহাসড়কে দুর্ভোগ কমবে বলে জানান তিনি।

দিদারুল আলম আরও বলেন, 'উত্তরবঙ্গগামী সব পরিবহন নলকা সেতু হয়েই বিভিন্ন জেলায় যায়, ফলে যানবাহনের চাপ বাড়ে। একটি লেন দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক যানবাহন চলাচল করায় যে দুর্ভোগ ছিল, সেতুর ২ লেন খুলে দেওয়ার পর সে দুর্ভোগ কমে যাবে।'

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলার গাড়ি হাটিকুমরুল-বগুড়া মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করে। এ মহাসড়কের হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তায় দুর্ভোগ রয়েছে। মহাসড়কের ঘুরকা এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হলেও এর রাস্তা মেরামত না করায় ধীরগতিতে গাড়ি চলাচল করে। এতে প্রায়ই এখানে যানজট লেগে থাকছে। এ ছাড়া, চান্দাইকোনায় রাস্তার প্রয়োজনীয় মেরামত না করায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।'

সড়ক বিভাগকে এ বিষয়ে বার বার বলা হলেও ঈদের আগে প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদারুল আলম তরফদার বলেন, 'উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ৪ লেনের কাজ চলমান রয়েছে। এ কাজ শেষ হতে আগামী বছর পর্যন্ত সময় লাগবে, ফলে এখনই রাতারাতি সব রাস্তা ঠিক করে ফেলা যাবে না। তবে যেখানে প্রয়োজন সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে।'

এদিকে, ঈদের আগে ব্যস্ত মহাসড়কে গরুর ট্রাক পরিবহনে দুর্ভোগ বাড়ছে বলে জানান পরিবহন চালকরা।

ঢাকা-পাবনা কোচের চালক ফারুক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোজার ঈদের আগে মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও কোরবানির ঈদে গরুর ট্রাক চলাচল করায় দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।'

তবে হাইওয়ে থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, 'গরুর ট্রাক ধীরগতিতে চলে। তবে সমস্যা হচ্ছে নিয়মমাফিক যানবাহন না চালানোর কারণে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চালকরা ওভারটেক করতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি করে। পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে, কিন্তু সমস্যা নিরসনে সবাইকে সচেতন হতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

10h ago