বৃষ্টিতে যশোর শহরের অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে গেছে, জনদুর্ভোগ

গত ৩ দিনের বৃষ্টিতে যশোর শহরের অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে গেছে। ছবি: সংগৃহীত

৩ দিনের বৃষ্টিতে যশোর শহরের অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে গেছে। সড়কে যাতায়াত করতে পারছেন না এলাকাবাসী। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাড়িঘরে ঢুকে পড়ছে পানি।

যশোর আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার যশোরে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে মঙ্গলবার দিনে হালকা ও সন্ধ্যার পর ভারি বৃষ্টিপাত হয়। এর আগে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত হয়।

আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশের বেশিরভাগ ড্রেন দিয়ে পানি নামছে না। ফলে পানি উপচে সড়ক ডুবে যাচ্ছে। সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। নতুন করে নির্মাণ করা সড়কগুলোতে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে।

যশোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সংলগ্ন গুরুদাস বাবু লেনে হাঁটু পানির ঢেউ খেলতে দেখা যায়।

যশোর পৌর কর্তৃপক্ষের মতে, মুক্তেশ্বরী নদীতে বাঁধ থাকায় ও হরিণার বিলে পলি জমে যাওয়ায় পৌর এলাকার পানি সরছে না।

স্থানীয়রা বলছেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাই জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ। এতে জনদুর্ভোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে বেহাল দশা।

শহরের বাসিন্দা আইয়ুব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক হাঁটু পানিতে ডুবে যায়। পিটিআই সড়কে ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। মাসখানেক ধরেই সড়কটিতে পানি জমে থাকছে। টিবি ক্লিনিক মোড় পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।'

স্থানীয় রাজু আহমেদ বলেন, 'বছরখানেক আগে সড়কটিকে সংস্কার করা হয়। কিন্তু বছর না ঘুরতেই ভাঙতে শুরু করেছে সড়ক।'

টিবি ক্লিনিক পাড়ার অধিকাংশ সড়কের বেহালদশা হরহামেশাই দেখা যায়। বিটুমিন উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে আছে বছর কয়েক ধরে। রিকশা প্রবেশ করতে চায় না এসব এলাকায়। অপরিকল্পিত ড্রেন এ অবস্থার জন্য দায়ী। ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় ভর্তি হয়ে আছে, পানিও সরছে না।

যশোর পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সরকারের সময় গত ৭ বছরে শহরে ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণ হয়েছে। এখনো অনেক ড্রেন নির্মাণের কাজ চলছে। সিআরডিপি, ইউজিপআইআই-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে এসব নির্মাণ কাজ হয়েছে।

জানতে চাইলে যশোর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শরীফ হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগে শহরের পানি মুক্তেশ্বরী নদীতে পড়ত। সেই নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ হচ্ছে। এ কারণে পৌর এলাকার পানি মুক্তেশ্বরী নদীতে যাচ্ছে না। হরিণার বিলে পলি জমে সেখানেও পানি যাচ্ছে না। বিলটি খননের চেষ্টা করা হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পানি সরছে না। অনেকে আবার পৌরসভার ড্রেনের সঙ্গে বাড়ির পানি ও ময়লার অপসারণের পাইপ সংযুক্ত করে রেখেছেন।'

এসব খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Matarbari project director sold numerous project supplies

Planning Adviser Prof Wahiduddin Mahmud today said the Matarbari project director had sold numerous project supplies before fleeing following the ouster of the Awami League government on August 5.

1y ago