বিদেশি প্রতিনিধিদের রীতিনীতি ‘মনে করিয়ে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি
কিছু 'সাম্প্রতিক ঘটনার' পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঢাকার সব বিদেশি কূটনীতিক এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের চিঠি পাঠিয়ে কূটনৈতিক রীতিনীতি মেনে চলার কথা 'মনে করিয়ে' দিয়েছে।
তবে, মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'এ ধরনের চিঠি পাঠানো রুটিন কাজ। নতুন কর্মকর্তারা আসেন এবং বিভিন্ন কার্যালয়ে যোগ দেন। আমরা সময়ে সময়ে তাদেরকে এ ধরনের চিঠি পাঠাই।'
চিঠিতে উল্লেখ করা 'সাম্প্রতিক ঘটনার' বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি জানি না। আমার কোনো ধারণা নেই।'
১৮ জুলাই পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, সব কূটনীতিক সংস্থা ও ব্যক্তিদেরকে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক সম্পর্ক সংক্রান্ত মহাসম্মেলন (১৯৬১) ও দূতাবাস সম্পর্ক সংক্রান্ত মহাসম্মেলনে (১৯৬৩) সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত কূটনীতিক নীতিমালা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়তা দিচ্ছে, আপনাদের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে।
ঢাকায় অবস্থিত বেশ কিছু কূটনীতিক মিশনের সূত্রমতে, ৩ জুলাই অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনারদের বৈঠকের বিষয়ে এ চিঠি পাঠানো হয়ে থাকতে পারে।
বৈঠকের পর ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শিউয়াখ বলেন, 'জনগণের ভোটের অধিকার সমুন্নত ও নিশ্চিত রাখতে (আপনাকে) দেশের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী ও উপযোগী করতে হবে। এমন একটি নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যেটি অংশগ্রহণমূলক, সহিংসতা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন থেকে মুক্ত এবং যেটি গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়তা করে।'
'বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের অঙ্গীকারবদ্ধ বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে, আমাদের দেশগুলো বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আসা যেকোনো ধরনের সহায়তার অনুরোধকে বিবেচনায় নিতে ও গণতান্ত্রিক চর্চার প্রচারণা করতে ও জনগণের চাহিদার বাস্তবায়নে প্রস্তুত আছে', যোগ করেনি তিনি।
প্রতিনিধিদলে ওইসিডির সদস্য ১৪টি দেশের কূটনীতিক মিশনের প্রধান ও উপ-প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান
Comments