‘বাংলাদেশের জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার পুরো সম্ভাবনা দেখছে ইইউ’
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) সুবিধার পর জিএসপি প্লাস সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সব সম্ভাবনা দেখছে ইইউ।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বেলজিয়ামে ইইউ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগ্যান্ড এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'অংশীদারিত্বের দৃঢ়তা, রপ্তানির শক্তিশালী গন্তব্য এবং রপ্তানি ও বিনিয়োগ বৈচিত্র্যের সঙ্গী, ডিজিটাল রূপান্তরের অংশীদার হিসেবে দেশের উন্নয়নে বাংলাদেশের কঠোর পরিশ্রম ইইউ পর্যবেক্ষণ করছে।'
'এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) স্কিম থেকে জিএসপি প্লাস স্কিমের আওতায় যেতে পারবে,' গানার উইগ্যান্ড বলেন।
বেলজিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে তার এ বক্তব্য প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ইবিএ স্কিমের অধীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে। তবে ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা অর্জন করলে এই সুবিধা বন্ধ হয়ে যাবে।
তখন অবশ্য কিছু শর্তের অধীনে বাংলাদেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে পারে।
এ অনুষ্ঠানে বেলজিয়াম পাবলিক ফেডারেল সার্ভিস ফরেন অ্যাফেয়ার্সের মহাপরিচালক (দ্বিপাক্ষিক বিষয়) জেরোয়েন কোরেম্যান বলেন, 'বেলজিয়াম আগ্রহের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনুসরণ করছে।'
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেলজিয়ামের উন্নয়ন সহযোগিতা মন্ত্রী মেরিয়ামে কিতির এপ্রিলের শেষ নাগাদ বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানান তিনি।
বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউ মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ তার বক্তব্যে বলেন, 'বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় পাঁচ দশকের অংশীদারিত্ব উন্নয়ন সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ইইউর সঙ্গে বর্তমানে একটি শক্তিশালী বাণিজ্য অংশীদারিত্ব তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের মোট বিশ্ব রপ্তানির অর্ধেকের বেশি ইইউভুক্ত দেশগুলোতে যায়।'
তিনি বলেন, 'ইইউর এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) বাণিজ্য সুবিধা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন যাত্রাকে ক্রমাগত গতিশীল করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।'
Comments