পুরোদমে চলছে পদ্মা সেতুর জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের প্রস্তুতি

পদ্মা সেতু। ছবি: স্টার

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সময় সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়কে কোনো ট্রাক বা কাভার্ড ভ্যান চলতে দেওয়া হবে না। ২৪ জুন সকাল থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে।

আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দীর্ঘতম সেতুটি উদ্বোধন করবেন। ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে এটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

কর্তৃপক্ষ ২৫ জুন ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থিত ৩ সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য কোনো টোল আদায় করবে না। ট্রাফিক জ্যাম কমানোর জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সেতু ৩টি হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু (পোস্তগোলায় অবস্থিত বুড়িগঙ্গা সেতু-১), ধলেশ্বরী সেতু এবং হাজি শরীয়তুল্লাহ সেতু (মাদারীপুরের আড়িয়াল খাঁ সেতু)।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের প্রস্তুতি হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিভাগের অধীনে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উদ্বোধন উপলক্ষে এই বিভাগের আওতায় থাকা বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

সরকার বর্তমানে বড় আকারে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আছে। এ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগ মাওয়াতে একটি নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করবে।

এছাড়াও, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৫ জুন সেতুর জাজিরা অংশে আরেকটি বড় আকারের সমাবেশের আয়োজন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে সফল করতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৯ জুন তাদের সব সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি বৈঠক করেছে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও বিভাগের নির্দেশনা মতে, ১৫ জুন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ উল্লেখিত মহাসড়কে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের চলাচল নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করে।

বৈঠকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) কাছে উদ্বোধনের দিন পর্যাপ্ত বাসের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানানো হয়।

গত ৯ জুনের বৈঠকে বুড়িগঙ্গা সেতুতে একটি ডিভাইডার বসানোর জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়। ফতুল্লা-মুন্সিগঞ্জ-লৌহজং সড়ক সঠিকভাবে প্রস্তুত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়।

এছাড়াও, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক) এবং ভাঙ্গা মোড়সহ আরও কিছু অবকাঠামোকে আলোকসজ্জা, বিলবোর্ড ও ডিজিটাল ব্যানার দিয়ে সাজানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এছাড়াও, দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য অধিদপ্তরের আওতাধীন সব সংস্থা ও বিভাগকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো সাজাতে বলা হয়।

সওজের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান জানান, তারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব নির্দেশ দিয়েছেন।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Killing of trader in old Dhaka: Protests erupt on campuses

Protests were held on campuses and in some districts last night demanding swift trial and exemplary punishment for those involved in the brutal murder of Lal Chand, alias Sohag, in Old Dhaka’s Mitford area.

3h ago