পদ্মা সেতু পার হতে মোটরসাইকেলে ভাড়া ৪০০ টাকা
পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়েছে আজ রোববার সকাল ৫টা ৫০ মিনিট থেকে। সকাল থেকেই চাপ ছিল মোটরসাইকেলের। অতিরিক্ত মোটরসাইকেলের চাপে প্রথম দিনেরই হিমশিম খেতে হয়েছে টোল কর্তৃপক্ষকে।
পদ্মা সেতু পার হতে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে জনপ্রতি দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা এবং ২ জন যাত্রী ছাড়া মোটরসাইকেলও ছাড়ছেন না তারা। একা যেতে চাইলে ভাড়া দিতে হচ্ছে ৪০০ টাকা।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া টোল প্লাজা ও শরীয়তপুরের নাওডোবা প্রান্তের টোল প্লাজার কিছুটা আগেই মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় চালকদের।
মাওয়া টোল প্লাজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকার সময় বেসরকারি চাকরিজীবী জামাল হোসেন বলেন, 'শরীয়তপুরে একটি জরুরি কাজে যেতে হবে। এ জন্য দাঁড়িয়ে আছি। মোটরসাইকেলে একজন নিয়ে গেলে ভাড়া চাচ্ছে ৪০০ টাকা। আমার একার পক্ষে এতো টাকা ভাড়া দেওয়া সম্ভব না। তাই আরেকজনের জন্য অপেক্ষা করছি।'
আওলাদ হোসেন নামে একজন মোটরসাইকেল চালক দ্য ডেইরি স্টারকে বলেন, 'টোল ভাড়া ১০০ টাকা, বাকি ১০০ টাকা মোটরসাইকেলের ভাড়া। আবার বেশিরভাগ সময় ফিরে আসতে হবে খালি। আবার তেল খরচ তো আছেই। সবকিছু হিসাব করে ২ জন যাত্রী নেওয়া হচ্ছে এবং জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা।'
একটি দোকানের মালিক কামাল হোসেন বলেন, 'স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে নিয়ে নাওডোবা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নেই। জনপ্রতি ২০০ টাকার কমে কেউই আসতে রাজি হয়নি। সেতু পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে ছবিও তুলেছি। সেতু দেখতে খুব সুন্দর। আগে তো লঞ্চ দিয়ে যাতায়াত করতাম, কিন্তু এখন যাচ্ছি সেতু দিয়ে।'
জীবন হোসেন নামে একজন বলেন, 'সেতুর ওপরে যাবো ঘুরতে। ভাড়া চায় ২০০ টাকা। কি আর করা, এই ভাড়া দিয়েই ঘুরেছি। বাসে উঠলে তো আর সেতুর ওপর দাঁড়াতে পারব না।'
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর ওপরে মোটরসাইকেল ও গাড়ি পার্কিং করে দাঁড়িয়ে আছেন অনেকেই। তারা সেখানে ছবি তুলছেন, ভিডিও করছেন।
অনেক চালককে দেখা যায় নির্দিষ্ট গতিসীমার চেয়ে বেশি গতিতে গাড়ি চালাতে। অনেক চালককে দেখা গেছে হেলমেট ছাড়াই মোটরসাইকেল চালাতে। এমনকি বেশ কিছু মোটরসাইকেলে মোট আরোহী ছিলেন ৩-৪ জনও।
Comments