নারায়ণগঞ্জে সেই লিটন সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে র‍্যাব

সনাতন ধর্মাবলম্বী ভোটারদের কপালে দেবতার ছবি ছুঁইয়ে ভোটের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন লিটন সাহা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

সুতা ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে র‌্যাব। তাকে শনিবার বিকেলে শহরের টানবাজার এলাকা থেকে র‍্যাব নিয়ে যায়।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আটক করা হয়নি। তার বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হলে জানানো হবে।

এর আগে লিটন সাহার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে দেবতার ছবি ছুঁইয়ে ভোটের প্রতিশ্রুতি নেওয়ার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে ৩২ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর নগরবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। ভিডিওতে লিটন সাহাকে ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মাকসুদ হোসেন রকির ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট চাইতে দেখা যায়। তিনি তার গলায় দেবতার ছবি ভোটারের কপালে ছুঁইয়ে ভোটের প্রতিশ্রুতি আদায় করেন।

বাসদের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভিডিওতে যে জায়গাটি দেখা যাচ্ছে সেটি ১৫নং ওয়ার্ডের বংশাল এলাকা। গত মঙ্গলবার রাতে ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা নগদ টাকা দিয়ে ঠেলাগাড়ি ও বই মার্কার পক্ষে ভোট কিনেছেন। তিনি হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ 'গীতা' ছুঁইয়ে ভোট নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়াও লিটন সাহা হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটারদের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা তার দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করছি।'

দেবতার ছবি ছুঁইয়ে ভোট চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে লিটন সাহা গত বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি দেবতার ছবি ছুঁয়ে ভোট চেয়েছি এটা সত্য। কিন্তু, নির্বাচনে কোনো প্রভাব বিস্তার করি নাই। আচরণবিধিও লঙ্ঘন করি নাই। যাদের কাছে ভোট চেয়েছি সবাই আমার পরিচিত। কাউকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়নি। টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় না। এগুলো সব মিথ্যা।'

Comments

The Daily Star  | English
Tk 2 daily wage for prisoners in Bangladesh

Tk 2 for a day's labour: Prisons chief pushes to reform inmate pay

"This is why prison-made products are so cheap. But this also makes inmates lose interest in work"

1h ago