না.গঞ্জ নির্বাচন: কমিশন কার স্বার্থে কাজ করছে, প্রশ্ন সুজনের
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। আমরা নির্বাচন কমিশনকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, তারা কাদের স্বার্থে কাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য প্রকাশ এবং নিরপেক্ষ ও মুক্ত নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রশ্ন করেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি নির্বাচন কমিশন ২০২০ সালে আয়োজিত ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণী প্রকাশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। একই ঘটনা ঘটছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও।
তিনি জানান, সম্পদের বিবরণী প্রকাশ পেলে তা ভোটারদের উপযুক্ত প্রার্থী বেছে নিতে সাহায্য করে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বঞ্চিত করছে, যোগ করেন তিনি।
সুজনের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ জানান, তারা লক্ষ্য করেছেন, ক্ষমতায় থাকার ৫ বছর পর একজন জনপ্রতিনিধির সম্পদের পরিমাণ ৪ থেকে ৫ গুণ বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, 'এটি কীভাবে সম্ভব? এ সব তথ্য ভোটারদের উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচনে সহায়তা করে।'
সুজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নারায়াণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত আসনের ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তাদের মধ্যে ১২০ জন এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন অথবা স্কুলের গণ্ডি পার হতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৭ জন মেয়র পদপ্রার্থীদের মধ্যে ২ জন ব্যবসায়ি, ১ জন আইনজীবী, ১ জন ডাক্তার এবং ২ জন চাকুরি করছেন। ১ জন প্রার্থী তার পেশা জানাননি।
৩ জন মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ৪০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা আছে, যাদের মধ্যে ৮ জন হত্যা মামলার আসামি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভির বার্ষিক আয় সবচেয়ে বেশি, যা তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে অর্জন করেছেন। ডাক্তার হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দেওয়া আইভির বার্ষিক আয় ১৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
৫৮ জন প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার কম এবং ১৪ জন প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ ১ কোটির বেশি।
Comments