টাঙ্গাইলে ভোটারদের হুমকি দেওয়া আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ, নির্বাচন স্থগিত

সাদিকুল ইসলাম সাদিক। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে  'যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন তারাই কেন্দ্রে আসবেন' বক্তব্য দেওয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিকের মামলা দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচ এম কামরুল হাসান আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন পরিচালনা-২ এর উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ গতকাল (রবিবার) রাতে তাদের হাতে এসে পৌঁছেছে।

তিনি আরও জানান, এর আগে শনিবার ওই ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহিমকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন মনোনয়নপত্র বাতিল সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হবে না ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার লিখিত জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। রোববার সন্ধ্যায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন প্রার্থী রহিম।

মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার মো. আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাদিকুল ইসলাম সাদিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।'

এর আগে, গত বুধবার বিকালে অরণখোলা ইউনিয়নের আমলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও মির্জাবাড়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাদিকুল ইসলাম সাদিক আওয়ামী লীগের নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমের পক্ষে নির্বাচনী সভায় বক্তৃতাকালে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না আসার এ হুমকি দেন। পর দিন বৃহস্পতিবার তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায় সাদিকুল ইসলাম বলছেন- '১৫ তারিখ ভোট হবে সারা দিন এবং নৌকা মার্কায় ভোট হবে। আপনারা ভোট দিবেন। যারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন তারাই কেন্দ্রে আসবেন। আর যারা নৌকায় ভোট দিতে নারাজ, দয়া করে কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা কিন্তু আশপাশেই অবস্থান করব। এখানে ২৪০০ ভোট রয়েছে, যদি দুই হাজার ভোট কাস্ট হয়, আমরা দুই হাজার ভোটই পেতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Meat peeled from cattle hide brings Eid joy to the poor in Moulvibazar

"I can never afford to buy beef during the rest of the year. It's simply too expensive," says Rahman, who has been involved in the business of removing meat from the skins of slaughtered cattle for the past 20-25 years

1h ago