সিটি গ্রুপের কার্গোটির কাগজপত্র পরীক্ষা করিনি: বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান

যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া সিটি গ্রুপের কার্গো রুপসী-৯। ছবি: সাজ্জাদ হোসেন/স্টার

শীতলক্ষ্যা নদীতে রোববার দুপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দেওয়া সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রুপসী-৯ কার্গো জাহাজটির কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক। তবে কাগজ পরীক্ষা করে না দেখলেও, সেগুলো ঠিক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

রোববার রাত ৯টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রুপসী-৯ নামের ঘাতক কার্গো জাহাজটির কাগজপত্র চেক করে দেখিনি। তবে মনে হয় ঠিক ছিল।'

বর্তমানে জাহাজটি নৌ-পুলিশের জিম্মায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'কার্গো ও লঞ্চ চালক ২ জনের বড় ধরনের অবহেলা ছিল, যা তদন্ত করে বের করা হবে।'

এ ঘটনায় নৌ-পুলিশ মামলা করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি। 

বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক বাবু লাল বৈদ্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লঞ্চটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৮০ জনের। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জেনেছি লঞ্চে ৪০-৫০ জন যাত্রী ছিল।'

যাত্রীবাহী লঞ্চের নিবন্ধনসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ঠিক ছিল বলে জানান তিনি।

'তবে কার্গোর নিবন্ধনসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র ঠিক আছে কি না, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত না। সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রুপসী-৯ নামের ঘাতক কার্গোটি আনলোড ছিল,' যোগ করেন তিনি।

রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ঘাট থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের লঞ্চঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় লঞ্চ আফসার উদ্দিন। পথিমধ্যে দুপুর সোয়া ২টায় কয়লাঘাট এলাকায় কার্গোটির ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। 

লঞ্চটির মালিক মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটের ইজারাদার দিল মোহাম্মদ কোম্পানি। 

এদিকে, ২০২১ সালের ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ এর ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রীবাহী সাবিত আল হাসান। ওই দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

ওই ঘটনার ১১ মাস ১২ দিন পর নদীর একই জায়গায় আবার লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটলো। 

রোববার রাত পর্যন্ত এ ঘটনায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মনির। 

এর মধ্যে ৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

4h ago